শান্তিনিকেতনের আগামী পৌষমেলা ঘিরে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ। কিছুদিন আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁরা আর পৌষমেলা আয়োজনের দায়িত্ব নিতে চায় না। যার ফলে অন্ধকারে ঐতিহ্যশালী পৌষমেলার ভবিষ্যৎ। বিশ্বভারতীর এ হেন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জমা হয়েছে শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী সহ মেলাপ্রেমী বহু মানুষের মনে। এই পরিস্থিতিতে আসরে নামলেন খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। পৌষমেলার হয়ে ব্যাট ধরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “পৌষমেলা বন্ধ হোক, চাই না। আমি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। পৌষমেলা একটা আবেগ। প্রয়োজনে সবার সঙ্গে কথা বলব। সবাই মিলে আলোচনায় বসবো।”
প্রসঙ্গত, দূষণ এবং অন্যান্য নানাবিধ কারণে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা আয়োজনে ফি বছর নাভিশ্বাস উঠছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। শেষমেশ চলতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার আর পৌষমেলার আয়োজন করবে না তারা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ বিশ্বভারতীর সমস্ত আধিকারিক ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা বৈঠকে বসে সর্বসম্মতিতে পৌষমেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বভারতীর এ হেন সিদ্ধান্তের জেরে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় শতাব্দীপ্রাচীন পৌষমেলার ভবিষ্যৎ।
বিশ্বভারতী আয়োজন না করলে পৌষমেলার আয়োজন প্রায় অসম্ভব। ফলে এককথায় চলতি বছর থেকে পৌষমেলা বন্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় সর্বত্র। বিশ্বভারতীর ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় ব্যবসার একটা বড় অংশ নির্ভর করে পৌষ মেলার ওপর। তাই মেলা বন্ধ হলে তাদেরও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে পৌষমেলার আয়োজন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হওয়ায় আশার আলো দেখছেন অনেকেই।