২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই জল্পনা চলছিল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন রাহুল গাঁধী। পরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে রাহুল সেই প্রস্তাবও দেন। আর সেখানে এই পদের জন্য আবেদন জানালেন অলিম্পিয়ান তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসলাম শের খান। তিনি রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি লিখে তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নেহরু-গাঁধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে যদি দলের সভাপতি পদে বসাতে চান রাহুল গাঁধী, তা হলে তিনি তা গ্রহণ করতে রাজি। এমনই বয়ান উঠে এসেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চিঠিতে।
প্রাক্তন ওই অলিম্পিয়ান বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যখন সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে চাইছেন এবং সেই পদে যখন নেহরু-গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে বসাতে চাইছেন, তখনই তাঁকে এই প্রস্তবটা দিই।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাহুল যদি ওই পদে থাকতে চান তো খুব ভাল কথা, না হলে দু’বছরের জন্য এই দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত আমি।’
তবে কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, দলকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজানোর কথা ভেবেই রাহুলকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে দাবি শের খানের। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বার্থে চিঠিটা লিখিনি। চিঠিটা লিখেছি কারণ, এই মুহূর্তে দলের ভোলবদলের প্রয়োজন। কংগ্রেস নেতৃত্বও সেটা ভাল ভাবে জানেন। দলের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে এই দায়িত্ব নিতে আমি প্রস্তুত।’
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে মোট ৫২টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেসের এই অবস্থার জন্য রাহুলকে কোনও ভাবেই দায়ী করতে চান না প্রাক্তন অলিম্পিয়ান। তাঁর মতে, রাহুল গান্ধী আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন দলকে জেতানোর জন্য। কিন্তু মানুষের কাছে সে ভাবে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস। আর সে কারণেই ব্যর্থ হয়েছে তারা।
তবে দলের মধ্যে যে একটা বড়সড় রদবদলের প্রয়োজন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলে মনে করেন শের খান। বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে কংগ্রেসের মধ্যে একটা বিশাল পরিবর্তন আনা দরকার। তবে আমার থেকে যদি ভাল কোনও প্রার্থী পায় দল, তাঁকেও সভাপতি করতে পারে।’ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসলাম শের খানের এই চিঠি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে শোরগোল।