আজ কার্ডিফে কি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর হ্যাটট্রিক করবে মাশরফি মর্তুজ়ার দল? সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন শুনেই সতর্ক ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। বলে দেন, ‘‘বাংলাদেশ দুর্দান্ত দল। অনেকেই ওদের শক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু আমরা সেই দলে পড়ছি না। কার্ডিফে একটা কঠিন ম্যাচ খেলতে নামছি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ওদের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার বেশ অভিজ্ঞ। সেটা একটা ভয়ের কারণ। চার বছর আগে ওরা আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছিল। তবে এ বার আমাদের দলটা আর আগের মতো নেই।অনেক বেশি শক্তিশালী। ’’ ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি ওয়ান ডে সিরিজের মধ্যে ১৪টি ম্যাচেই জিতেছেন অইন মর্গ্যানেরা।
উল্লেখ্য পর পর দু’টো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আর ২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন শাকিব আল হাসানরা। তাই আজকের ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ সকলের। চার বছর আগের হারের বদলা নিতে পারবে কিনা ইংল্যান্ড বারংবার প্রশ্ন উঠছে তাই নিয়ে।
বৃষ্টির কারণে গতকাল কার্ডিফে অনুশীলন করতে পারেনি ইংল্যান্ড। পিছিয়ে যায় বাংলাদেশের অনুশীলনও। তার উপর শনিবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। তাই ম্যাচে যে দলই টসে জিতবে, কার্ডিফের সিমার সহায়ক উইকেটে বিপক্ষকে কম রানে বেঁধে রাখার চেষ্টা করবে। সেই সূত্র মেনেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড দলে স্পিনার আদিল রশিদের জায়গায় দলে ঢুকতে পারেন পারেন পেসার লায়াম প্লাঙ্কেট। কারণ, তাঁর শরীর লক্ষ্য করে কাটারগুলো কাজে লাগাতে চায় ইংল্যান্ড শিবির।
তবে ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে চিন্তা না থাকলেও ইংল্যান্ড শিবিরে চিন্তা তাদের ফিল্ডিং। যা আগের পাকিস্তান ম্যাচে মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মর্গ্যানের কাছে। বাংলাদেশের ম্যাচের আগে দলকে সতর্ক করে তিনি বলছেন, ‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের দুই ব্যাটসম্যান শতরান পেলেও জেতার জন্য যোগ্য ছিলাম না আমরা। ফিল্ডিং মোটেও ভাল হয়নি সে দিন। আশা করি, এ বার সেই ভুলভ্রান্তিগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হবে না।’’
অন্য দিকে, বাংলাদেশ নির্ভর করছে তাঁর স্পিনার-ত্রয়ী মেহেদি হাসান মিরাজ়,সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেনের উপরে। মাশরফি বলছেন, ‘‘আমাদের স্পিনাররা সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে দুর্দান্ত প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক বছর ধরে নতুন বলে দারুণ চমক দেখাচ্ছে মিরাজ়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতে স্পিনার এনে সফল হয়েছিল। কারণ ওদের দুই ওপেনার স্পিনের বিরুদ্ধে পোক্ত নয়। সেই রণনীতি অনেক দলই অনুসরণ করবে।