বুধবার ঈদের সকালেই রক্তাক্ত হয়েছিল কাশ্মীরের পুলওয়ামা। বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক মহিলাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। জখম হয়েছিলেন আরও এক গ্রামবাসী। জঙ্গি নিধন অভিযানে নেমে জোর গুলি লড়াই শুরু হলো পুলওয়ামার লসিপোরার পঞ্জরন গ্রামে। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে আবার শুরু হওয়া এনকাউন্টারে চার জঙ্গির খতম হওয়ার খবর মিলেছে। আজ শুক্রবার সকালেও চলেছে গুলি বিনিময়।
সেনা সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদের চার জঙ্গিকে ইতিমধ্যেই নিকেশ করা হয়েছে। এলাকায় এখনও জইশের কম্যান্ডার-সহ কয়েকজনের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলেছে সেনা ও পুলিশ। নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা।
পঞ্জরন গ্রামে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে জঙ্গিরা এমনটাই খবর মিলেছিল জওয়ানদের কাছে। সাথে সাথে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সেনার ৪৪ আরআর কম্যান্ডো, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ এবং সিআরপিএফ জওয়ানেরা। সেনার সঙ্গে অভিযানে নেমেছিল রাজ্য পুলিশও। বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ পঞ্জরন গ্রাম ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। গোপন আস্তানা থেকে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনারাও। বাকি জঙ্গিদেরও খতম করা হবে বলে সেনা সূত্রে খবর।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই পুলওয়ামাতেই সিআরপুএফ-এর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। নিহত হয়েছিলেন ৪৪ জন জওয়ান। এই নৃশংস হত্যালীলার পর থেকেই বারবার অশান্ত হয়েছে উপত্যকা। একাধিক এনকাউন্টারে জঙ্গিদের নিকেশ হওয়ার পাশাপাশি শহিদ হয়েছে বহু জওয়ানও।
চলতি মাসেই পুলওয়ামার এনকাউন্টারে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। প্রাণ গিয়েছে এক সেনা জওয়ানেরও। তার আগে ৪ লস্কর জঙ্গিকে খতম করেছিল সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল ফোর্স। এখনও উপত্যকার নানা জায়গায় জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।