জীবনের হিসেব কষতে বসলে একটা শব্দ মুখ ফ্যাঁকাসে করার জন্য যথেষ্ট। তা হল ক্যানসার। এই হাজার দূষণের সময়ে ক্যানসার অতি পরিচিত এই একটা শব্দই ভয়ে আঁতকে ওঠার জন্য যথেষ্ট। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় এই রোগের কিছু কিছু পর্যায়ের সঙ্গে লড়াই করা সম্বব হলেও, আজও পরিবারের কেউ এই রোগের শিকার হয়েছেন শুনলে যেন মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। তার অন্যতম কারণ অবশ্যই, এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে ওঠার চাবিকাঠি এখনও অধরা। তাই ক্যানসার আতঙ্কও সহজেই জাঁকিয়ে বসে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যানসার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে ততই তার চিকিৎসায় সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। মেটাস্টেসিস হোক বা নন মেটাস্টেসিস, ক্যানসারের সঙ্গে প্রাথমিক লড়াইটা যত দ্রুত শুরু হবে ততই রোগী অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, একটু সচেতন হলে কিছু কিছু ক্যানসারের কয়েকটি প্রাথমিক লক্ষণ বুঝতে পারা সম্ভব। সেগুলো হল,
হাড়ে বা গাঁটে ব্যথা হলে তাকে সব সময়ে বাতের ব্যথা বলে ফেলে রাখবেন না। বিশেষ করে গা-হাত-পা ব্যথা ইত্যাদি হলে তা এড়িয়ে যাবেন না। এখন থেকেই সাবধান হোন। নিয়মিত হাড়ের ব্যথা কিন্তু বোন ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়।
হঠাৎ হঠাৎ পা ফুলে যাওয়া কিন্তু সবসময় ছোট সমস্যা না-ও হতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা লেগে থাকলেও চিকিৎসকের কাছে যান।
শরীরে প্রায়ই কি লাল র্যাশ বেরোয় এবং চুলকুনি হয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলি পোকার কামড় বা অ্যালার্জি বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত এগুলি হতে থাকলে এক বার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সমস্যা ব্লাড ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়। ব্লাড ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণই হল শরীরে লাল, বেগুনি, ব্রাউন র্যাশ ইত্যাদি।