দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মোদী সরকারের মাথাব্যথা বাড়িয়ে দিয়েছে জেডিইউ, শিবসেনার মতো শরিকরা। মাত্র ২ জন প্রতিমন্ত্রী পেয়ে মোদী মন্ত্রীসভায় বঞ্চনার শিকার হয়েছে বাংলাও। আর এবার সদ্যগঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় কর্ণাটকের একজন দলিত সাংসদকেও না রাখায় বিজেপির তীব্র সমালোচনা করলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়া। তিনি জানান, শুধুমাত্র বড় বড় কথা বললেই দলিতদের উন্নতি সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে কর্ণাটক থেকে বিজেপির ৫ দলিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় মোদী সরকারে তাঁদের কেউ মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সিদ্ধারামাইয়া। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘শুধুমাত্র বড় বড় কথা বললেই দলিতদের উন্নতি হবে না। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তাঁদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু এ রাজ্য থেকে জয়ী হওয়ার পরেও একজন দলিত সাংসদকেও এবারের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেয়নি বিজেপি। এর চেয়ে বড় অবিচার বা বিশ্বাসঘাতকতা আর কী হতে পারে?’
উল্লেখ্য, সদ্যগঠিত মন্ত্রীসভায় কর্ণাটক থেকে মন্ত্রী হয়েছেন প্রহ্লাদ যোশি (সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী), ডি ভি সদানন্দ গৌড়া (রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী) ও সুরেশ আনগাড়ি (রেলমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী)। অন্যদিকে, এরাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্মলা সীতারামন অর্থমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ডি ভি সদানন্দ গৌড়া ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের ও সুরেশ আনগাড়ি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের। প্রহ্লাদ যোশি ও নির্মলা সীতারামন দু’জনেই ব্রাহ্মণ। বঞ্চিত কেবল দলিত সাংসদরাই। সিদ্ধারামাইয়া এই বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার।