ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিজেপি গুণ্ডা বাহিনীর সন্ত্রাসে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। ২০১৪ এর থেকে তুলনামূলক কিছুটা আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে বিজেপি। আর তাতেই যেন লাগাম ছাড়া হয়ে উঠছে বাংলার গেরুয়া শিবির। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও ভাঙচুর আবার কোথাও অন্যান্য দলের কার্যালয়ে হামলা। এইভাবেই তান্ডব চলছে রাজ্য জুড়ে। বাদ নেই খেজুরিও৷ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি গোটা এলাকায়৷ তারই মাঝে খেজুরির ওসিকে অপসারণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ কৃষ্ণেন্দু প্রধানকে দিঘা মোহনা উপকূল থানায় বদলি করা হয়েছে৷ তাঁর পরিবর্তে ওই জায়গায় আসছেন গোপাল পাঠক৷
প্রসঙ্গর, ১ জুন সকাল থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্ঠীবাড়ী গ্রাম৷ অভিযোগ, তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ বেরার বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়৷ এই কুকর্মে নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা সনৎ মাইতি৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদ করতে শুরু করেন৷ বিজেপি কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কিন্তু এতে দমে না গিয়ে, কন্ঠীবাড়িতে থাকা বিজেপি কর্মীরা এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। কার্যালয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধরও করা হয়।
এখানেই শেষ নয়। খেজুরি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ বিজেপি কর্মীরা পুলিশের গাড়ির উপর চড়াও হয়। দুটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়৷ একটি গাড়ি রাস্তার পাশে থাকা নয়ানজুলিতে ফেলেও দেয় হামলাকারীরা৷ তার পরেরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তৃণমূল বিধায়ক৷ অভিযোগ, তাঁর গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা৷ এরপর থেকেই থমথমে খেজুরি৷ তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও।