একটা ভোট শেষ হলেই পরবর্তী ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার ২০২১-এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে দলের নেত্রা-নেত্রীদের জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। সেইসঙ্গে দলের রাজ্য দফতর তৃণমূল ভবনকে সচল রাখতে দলের নেতাদের নিয়মিত সেখানে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছেন দলনেত্রী। সেই অনুসারে প্রত্যেক দিন দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নেতা-মন্ত্রীর নামের তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে দুই মন্ত্রীকেও বসতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল স্তরে মিলেমিশে দলের কাজ করতে ভবনে বসবেন তাঁরা।
এর আগেও তৃণমূল ভবনে নিয়ম করে বসার ব্যাপারে মন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা অনুসারে কিছু নেতার নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে তৃণমূল ভবনে বসতেন। তবে খুব বেশিদিন তা স্থায়ী হয়নি। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং মহিলা নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়া কেউই নিয়মিত তৃণমূল ভবনমুখো হতেন না। এবার সেই ঢিলেঢালা চালচলন আর বরদাস্ত করবেন না তৃণমূল নেত্রী। তাই রবিবার সহ সপ্তাহের সব দিনই সেখানে দফতর সামলানোর দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি প্রয়োজনে যাতে দলীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মঙ্গলবার সুজিত বসু, বুধবার শুভেন্দু অধিকারী, বৃহস্পতিবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শুক্রবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রবিবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দুপুর থেকে বসবেন তৃণমূল ভবনে। এর পাশাপাশি প্রত্যেক দিন সকালে পুর্ণেন্দু বসু এবং ইন্দ্রনীল সেনকেও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জনসংযোগের কাজে বসতে হবে দলের রাজ্য দফতরে। জানা গেছে, সংগঠন শক্তিশালী করতেই দলনেত্রীর এই পদক্ষেপ। প্রতিটি বিধায়ককে তাঁর নিজের এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।