উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে আড়াই বছরের শিশুহত্যা কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। জোরালোভাবে দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বৃহস্পতিবারই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের তোলা হবে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন সেই শিশুটিরই আত্মীয়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ হাজার ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দেনা শোধ করতে না পারায় ঋণগ্রহীতার আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল তারই এক আত্মীয়। মৃতদেহ ফেলে দিয়ে গিয়েছিল গ্রামেরই এক প্রান্তের আবর্জনা স্তূপে। দেহ উদ্ধারে গিয়ে চমকে উঠেছিল পুলিশ। শিশুটিকে কী নির্মম যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল সেটা আঁচ করে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন দুঁদে পুলিশ কর্তারাও। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, গলা টিপে খুন করার আগে শিশুটির দু’চোখ খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছিল। ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়া হয়েছিল কচি দুই হাত। শিশুটির সারা শরীরে ছিল দগদগে ক্ষত চিহ্ন।
আলিগড় পুলিশ সুপার আকাশ কুলহারে জানিয়েছেন, “গত ৩১ মে শিশুটির পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। ২ জুন আবর্জনা স্তূপ থেকে শিশুটির পচা গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি ছিল খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল শিশুটিকে। পুলিশ সুপার আকাশের কথায়, “ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে পৈশাচিক যন্ত্রণা দিয়ে বাচ্চাটিকে খুন করা হয়েছে। তাই এনএসএ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের কথায়, ধৃত দু’জনের মধ্যে একজনের নাম জাহিদ। সম্পর্কে তিনি শিশুটির আত্মীয় হন। ঘটনার দিন কয়েক আগে ধার দেওয়া টাকা নিয়ে জাহিদের সঙ্গে নিহত শিশুটির বাবা ও দাদুর বচসা হয়। জাহিদ তাঁদের হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। শিশু খুনের তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।