হুগলীতে তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণ পর্যালোচনায় বৈঠক করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে এই বৈঠক করেন তিনি। দলের টিকিটে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সাংসদ, জনপ্রতিনিধি, নেতা এবং মন্ত্রীরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
হুগলি জেলায় তিনটি লোকসভা কেন্দ্র। এর মধ্যে শ্রীরামপুর এবং আরামবাগে জিতলেও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুবারের সাংসদ রত্না দে নাগ। আরামবাগেও অপরূপা পোদ্দার জিতেছেন খুব কম মার্জিনে। হুগলির বাকি আসনগুলিতে জিতলেও হুগলি আসনটি হেরে গিয়েছে তৃণমূল। যা নিয়ে এদিন জেলার সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের কাছে উষ্মাও প্রকাশ করেন দলনেত্রী।
এই বৈঠকে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যে জনসংযোগ যাত্রার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গোটা রাজ্যেই হবে সেই যাত্রা। মমতা আগেই এই কর্মসূচির কথা বলেছিলেন। এ দিন দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেন। পাহাড় থেকে সাগর, জঙ্গলমহল সর্বত্র হবে এই হবে পদযাত্রা।
মমতা ঘোষণা করেন, ২১ জুন থেকে এই যাত্রা শুরু করবে তৃণমূল। চলবে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। তারপর ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশ মিটে যাওয়ার পর দ্বিতীয় পর্বের যাত্রা শুরু হবে ২৫ জুলাই থেকে। শুরুর দিকের যাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী।
সেইসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে নীতিআয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, ‘নীতি আয়োগ কোনও কাজের নয়। তার চেয়ে প্ল্যানিং কমিশন অনেক ভালো ছিল। রাজ্যের কথা সেখানে রাখা যেত। কিন্তু নীতি আয়োগে সেইসব বালাই নেই’।