বিজ্ঞান বলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর অন্যতম কারণ মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ। তাই এর হাত থেকে বাঁচতে পরিবেশ রক্ষা করতে নেওয়া হয় একাধিক উদ্যোগ। কিন্তু এবার ন্যাশন্যাল কমিশন ফর শিডিউলড ট্রাইবস-এর চেয়ারম্যান নন্দ কুমার সাই সরাসরি অস্বীকার করলেন বিজ্ঞানকে। তিনি জানালেন, সংস্কৃত পড়লে নাকি গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঘটত না!
একটি টিভি চ্যানেলকে এক ইন্টারভিউয়ে নন্দ কুমার বৃহস্পতিবার বলেন, “আমরা যদি এখনও সংস্কৃত পড়তাম, তা হলে আমাদের এই ধরনের গ্লোবাল ওয়ার্মিং দেখতে হতো না। সংস্কৃত যে ভাবে প্রকৃতি ও গাছপালার সংজ্ঞা নির্ধারণ করে, কোনও ভাষা তা করে না। ” নন্দ কুমার সংস্কৃতকে ভারতের সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়ার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলছিলেন। তাঁর মতে, জাতীয় স্তরে সংস্কৃত পড়ানো হলে এর থেকে কর্মসংস্থানও হতে পারে। যদিও এই কথা এখন বেশ স্পষ্ট যে, আদি ভাষা হলেও এই সময়ে দাঁড়িয়ে সংস্কৃত ভাষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বা কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশ কম।
তবে শুধু এই অবান্তর মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হননি নন্দ। তিনি আরও বলেছেন, “ হিন্দি ভাষা তো সংস্কৃত থেকেই এসেছে। তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালিও সংস্কৃতের খুব কাছাকাছি। অতএব, সংস্কৃতকে বাধ্যতামূলক করা উচিত। আর ইংরাজিতে ভারতীয় জীবনের সবরকমের মূল্যবোধকে ব্যাখ্যা করা যায় না। সংস্কৃত তা পারে। তাই সংস্কৃত যে গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য, তা না পেলে ভারতীয় জীবনে ভাষাটির বিকাশ সম্ভব নয়”। যদিও ভাষা কিভাবে জীবনের মূল্যবোধকে ব্যক্ত করে তার কোনও যথাযথ যুক্তি তিনি দিতে পারেননি।
বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে তো বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। কিন্তু আধুনিক যুগে সংস্কৃত চর্চার চল থাকলে বিশ্ব উষ্ণায়ন হতো কি না, তা নিয়ে সম্ভবত কেউ কোনওদিন ভেবে দেখেননি! কারণ, এই দুটোর মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা হয়তো কারও মাথাতেই আসেনি। এমনকি স্বয়ং নন্দও কি প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন তা বলতে পারেননি।