মালেগাঁও ধারাবাহিক বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নাম থাকায় ভোপালের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার হাজিরার কথা ছিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে৷ কিন্তু প্রজ্ঞা ফের ‘নাটক’ শুরু করলেন বুধবার রাত থেকে৷
তাঁর নাকি অসহ্য পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়৷ তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও তেমনই গুরুতর কিছুই খুঁজে পাননি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ ফলে বৃহস্পতিবার ভোরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ অবশ্য হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি আর হাজিরা দেননি৷
সূত্রের খবর, এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যান তিনি৷ সেখান থেকে ফের হাসপাতালের উদ্দ্যেশে রওনা দেন৷ সোমবার বিশেষ এনআইএ বিচারক ভি এস পাঢালকর সাধ্বী প্রজ্ঞার হাজির না দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন৷ হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসেবে সাধ্বী প্রজ্ঞা জানিয়ে ছিলেন, সংসদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে তাঁর কিছু বকেয়া কাজ পড়ে রয়েছে, সেই সব কাজ সমাধা করতে চান তিনি৷
স্বাভাবিকভাবেই তাঁর যুক্তি ধোপে টেকেনি৷ আদালতে তাঁর হাজিরা জরুরি, এই নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের শুনানিতে হাজির থাকার কথা জানান হয়৷ তবে শুক্রবারের মধ্যে আদালতে হাজিরা না দিলে তিনি বেশ বিপাকে পড়তে পারেন বলে খবর৷
সাধ্বী ঘনিষ্ঠ উপমা জানান, প্রজ্ঞার শরীর ভালো নেই৷ তাই হাজিরা দিতে পারেননি৷ হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল৷ বেশ কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাঁকে৷ সকালে ছেড়ে দেওয়া হলেও, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ নন৷ দলের চাপে পড়ে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে যোগ দিতে হয়েছে৷ কিন্তু ফের হাসপাতালে ভরতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর৷
২০০৮-এর মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তারপর থেকেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এনআইএ কোর্টেই এই মামলার বিচার চলে। অন্তত ১১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওতে একটি মসজিদের সামনে ২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর পর পর কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণে ৬ জন মারা যান। সেই হামলায় সাধ্বীর যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছিল। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।