আজ শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল ফের আগের ম্যাচের ছবিই দেখতে পাওয়া যাবে। প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার পরাজয় ঘটেছিল লঙ্কাবাহিনীর। আজ খেলা শুরুর পর মনে হচ্ছিলো আফগানদের কাছেও হারতে হবে। কিন্তু পেস বোলারদের দাপটে এরকম লো স্কোরিং ম্যাচেও জয় তুলে নিলেন শ্রীলঙ্কা।
কার্ডিফে এ দিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন অধিনায়ক করুনারত্নে ও কুশল পেরেরা। করুনারত্নে ৩০ করে আউট হলে তারপর থিরিমানের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন পেরেরা। থিরিমানে ২৫ ও পেরেরা ৭৮ করে আউট হওয়ার পরই ব্যাটিং বিভ্রাট। প্রথমে নবি ও তারপর রশিদ খানের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না লঙ্কাবাহিনীর কোনও ব্যাটসম্যান। নবি এক ওভারে ৩ উইকেট নেন। মাঝে বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। তারপর আবার খেলা শুরু হলে ২০১ করে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে আফগানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ১৮৭ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই শুরু হয় আফগানদের ব্যাটিং বিপর্যয়। ইংল্যান্ডের ওই আবহাওয়ায় ব্যাট করতে সমস্যা হয় আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদেরও। একমাত্র হাজরাতুল্লাহ জাজাই ও নাজিবুল্লাহ ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যানই ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। জাজাই ৩০ ও নাজিবুল্লাহ ৪৩ করেন। যদিও তাতে আফগানদের খুব একটা সুবিধা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় তাঁরা। শ্রীলঙ্কার হয়ে লাসিথ মালিঙ্গা ৩টি ও নুয়ান প্রদীপ ৪টি উইকেটে নেন।
এ দিনের জয়ের ফলে চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালো শ্রীলঙ্কার প্লেয়াররা। অন্যদিকে পরপর ২ টি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপের দৌঁড়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়ল আফগানিস্তান।