জঙ্গলের নতুন স্বাদ এখন রাজ্যে। হলোগ্রাফিক অ্যানিমেশন এবার শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক ও কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সিনেমার পর্দা থেকে এইবার একেবারে বাস্তবের মাটিতে। দেশে প্রথম অভিনব উদ্যোগ বনদপ্তর ও রাজ্য জু অথরিটির। জাপান, চিন ও দুবাইয়ের চিড়িয়াখানায় ওই জাদুতে দর্শকদের মন জয়ের আয়োজন হয়। এবার সেটাই দেখা যাবে রাজ্যের সাফারি পার্ক ও চিড়িয়াখানায়। ইতিমধ্যে টেন্ডার ডেকে প্রকল্পটি রূপায়ণের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত।
সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, হলোগ্রাফিক অ্যানিমেশনে থাকবে অন্তত পাঁচটি প্রাণী। দু’মিনিটের সিনেমা তৈরি হবে। যে সংস্থা হলোগ্রামটি বসাবে তাঁকে ইনস্টলেশনের পাশাপাশি ওই বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং এক বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। হলোগ্রাম রাজ্যের চিড়িয়াখানা ও সাফারি পার্কের দু’জায়গায় স্থায়ীভাবে বসানো হবে। হলোগ্রামের নির্দিষ্ট জায়গায় দর্শকরা দাঁড়ালে তাঁদের চারপাশে ওই ভারচুয়াল পার্কের দেখা মিলবে। পাখির কলরব, পাঁচটি বন্যপ্রাণ-সহ বন্য পরিবেশের আমেজ ভারচুয়াল পার্কে উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।
জু অথরিটির সদস্য সচিব বিনোদ যাদব বলেন, ‘আলিপুর চিড়িয়াখানা ও বেঙ্গল সাফারি পার্কে দুটি হলোগ্রামের মাধ্যমে ভারচুয়াল অ্যানিম্যাল পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানেই বেশি পর্যটকদের ঢল নামে। হলোগ্রাম বসাতে টেন্ডার ডাকা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হলোগ্রামের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার বিশেষত্ব এবং চিড়িয়াখানায় থাকা একাধিক প্রাণীর বৈশিষ্ট্য ‘ভারচুয়াল অ্যানিম্যাল পার্কে’ তুলে ধরা হবে।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত পর্যটক টানতে হলোগ্রাফিক অ্যানিমেশনের উদ্যোগ। এটা হলে দর্শকদের একঘেয়েমিও কাটবে। বড় স্ক্রিন ও সাত ডাইমেনশনাল হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেকেই বাড়তি আনন্দ উপভোগের সুযোগ পাবেন। খবর চাউর হতে পর্যটকমহলে কৌতুহল জেগেছে। রাজ্য বনদপ্তর জু অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কাজটি করবে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বনদপ্তর। সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থারও। নতুনভাবে দর্শকের মনে আলোড়ন ফেলবে এই উদ্যোগ। ভারতের প্রথম ‘ভারচুয়াল অ্যানিম্যাল পার্ক’ শিশু মনেই বেশি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকেই।