ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জোট সঙ্গী জেডিইউ এবং এলজেপি সুপ্রিমোদের তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং৷ মঙ্গলবার টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং রামবিলাস পাসোয়ানের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিহারের বেগুসরাইয়ের এই সাংসদ৷ এরপরেই বিজেপি-জেডিইউ জোট রসায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, কোনওভাবে উলটো স্রোত বইছে না তো জোট সমীকরণে?
এদিন সকালে টুইটারে নীতীশ কুমার ও রামবিলাস পাসোয়ানের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন গিরিরাজ সিং৷ কটাক্ষের সুরে সেখানে লিখেছেন, ‘কত ভালই না হত যদি নবরাত্রিতে ফলাহার খেতে খেতে ওঁনারা এমন সুন্দর ছবি তুলতেন? আমরা নিজের ধর্ম-কর্মেই পিছিয়ে থাকি, আর লোক দেখানো কাজে এগিয়ে যাই৷’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই সমালোচনার পরই জাতীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন শুরু হয় যে, আবার হয়ত এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে জেডিইউ৷
কারণ মন্ত্রিসভায় সঠিক মর্যাদা না পাওয়ায় এমনিতেই মোদী-শাহর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর দাবিমতো নির্দিষ্ট সংখ্যক মন্ত্রিত্ব জেডিইউকে না দেওয়ায়, রাগে ইতিমধ্যে নয়া মন্ত্রিসভা বয়কট করেছেন নীতীশ কুমার৷ এবং রাজ্যে ফিরেই বিহারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছেন তিনি৷ নতুন মন্ত্রিসভায় নিজের দলের আটজনকে ঠাঁই দিলেও, বিজেপির একজনকে জায়গা দেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপির জন্য ছাড়া হয়েছে মাত্র একটি আসন৷
একদিকে যখন, বিহারে বিজেপি-জেডিইউ জোট ভাঙার গুঞ্জন চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে৷ ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে আবারও পুরনো সঙ্গীর দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি৷ জেডিইউ আবারও জোটে ফিরতে চাইলে, তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন আরএলডির সহ-সভাপতি রঘুবংশ প্রসাদ সিং৷ লালুঘনিষ্ঠ এই নেতা জানান, জোটে জেডিইউ প্রধানকে স্বাগত জানাতে তাঁরা প্রস্তুত৷