মোদীর শপথের পাঁচ দিনের মাথায় পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাস-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল। নেতৃত্ব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ বললেন, ‘আমায় জেলে নিয়ে যাক, কিন্তু মানুষের কথা বলব’।
এদিন গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। মিছিল শেষে হাজরায় সভা করেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভার শুরু থেকেই অভিষেক ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। দলীয় কর্মীদের ভোকাল টনিক দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট ৫ শতাংশ কমেছে। তার পরেও একদল লোক গেল গেল রব তুলেছে। মনে রাখতে হবে আমাদের সরকার সিআরপিএফ দিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসেনি’। যে সব পার্টি অফিস বিজেপি দখল করেছে তার সব ক’টি তৃণমূল পুনর্দখল করবে বলেও জানান অভিষেক। সেজন্য দলীয় কর্মীদের তৈরি থাকার ডাক দেন তিনি।
এর পরই কেন্দ্রের উদ্দেশে হুঙ্কার ছেড়ে অভিষেক বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে জেলে নিয়ে যাক। কিন্তু আমি মানুষের কথা বলব।’ কর্মীদের মনোবল ফেরাতে অভিষেক এদিন বলেন, ‘২০০৪ সালে তৃণমূলের ১ জন সাংসদ ছিল। সেখান থেকে এখানে পৌঁছেছে দল। ইভিএম-এ কারচুপি আমরা ধরে ফেলেছি। আমরা ব্যালট ফেরত চাই।
জনসংযোগ বাড়াতে এদিন কর্মীদের ফের ময়দানে নামার ডাক দেন অভিষেক। সেজন্য ৬ জুন ওয়ার্ড ভিত্তিক মিছিল করার নির্দেশ দেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘দ্বিতীয় মোদী সরকারও শপথ নেওয়ার পর থেকেই জন বিরোধী পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন। এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা রাস্তায় নেমেছি। আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’।