ব্যাঙ্ক জালিয়াতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, দেশে ২০১৮-২০১৯ অর্থাৎ চলতি আর্থিকবর্ষে ৭১, ৫০০ কোটি টাকা জালিয়াতি ঘটছে। জালিয়াতির ঘটনার সংখ্যা ৬,৮০০।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির ধাক্কা ৪১,১৬৭ কোটির। বাকিটা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। এই নিয়ে গত ১১টি অর্থবর্ষে মোট ৫৩,৩৩৪টি জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ল। সব মিলিয়ে ব্যাঙ্কগুলি হারিয়েছে ২ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা।
গত বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ৫,৯১৬টি ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল। এতে মোট ৪১,১৬৭.০৩ কোটি টাকা জড়িয়ে ছিল বলে জানিয়েছে আরবিআই। অর্থাৎ চলতি আর্থিক বর্ষে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একজন সাংবাদিকের করা আরটিআইয়ের জবাবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সর্বশেষ আর্থিক বছরে তফশিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে মোট ৮,৮০১টি জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। যার মোট পরিমাণ ৭১,৫৪২.৯৩ কোটি টাকা। এক বছরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অর্থের পরিমাণ এক ধাক্কায় ৭৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, ব্যাঙ্কগুলি তাদের যে সব জালিয়াতির কথা জানাচ্ছে, তার সবগুলির জন্যই ব্যাঙ্কগুলিকে দোষী ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে হবে। তবে ব্যাঙ্কগুলি এ পর্যন্ত কত ক্ষেত্রে মামলা করেছে এবং কতগুলিতে সেই প্রক্রিয়া চলছে, সেই তথ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে নেই।
যাঁরা ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধ না করে বিদেশে পালিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন বিজয় মালিয়া থেকে শুরু করে নীরব মোদির মতো ধনকুবেররা। এঁদের দেশে ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি) ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনাগুলি থেকে সবচেয়ে বড় অঙ্কের ১০০টি জালিয়াতির ঘটনা চিহ্নিত করেছে।
প্রতিটি প্রতারণার ঘটনায় ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট আইনি প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তদন্তের কাজ কী পর্যায়ে আছে, তা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে আরবিআই।