বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভারতের একটি চরম ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল। এ এক এমন দল যারা কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করে না। এবার এই হিন্দু পরিষদের মিছিলে দেখা গেল অস্ত্র প্রদর্শন। শুধু তাই নয়, মিছিলে চলল গুলিও।
গত রবিবার মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের উপকন্ঠে এই মিছিল হয়। সূত্রের খবর, পুলিশের থেকে আগাম অনুমতি না নিয়েই বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মিছিল হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিছিলে হাঁটার সময় চার তরুণী স্বেচ্ছাসেবককে এার রাইফেল থেকে মাঝে মাঝে শূন্যে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গী আরও পাঁচ স্বেচ্ছাসেবক খাপখোলা তলোয়ার মাথার উপর ঘোরাতে ঘোরাতে হাঁটেন।
বিনা অনুমতিতে এভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগ এনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ২০০ থেকে ২৫০ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিক বিকাশ এন দুধে জানান, আইনের পরোয়া না করে কমপক্ষে ৪ জন মেয়ে এয়ারগান নিয়েছিল। আরও ৫ জনের হাতে ছিল তলোয়ার। গোটা ঘটনার জন্য সংগঠনের স্থানীয় শাখার সভাপতি শারদ ইনামদার, জেলা প্রধান ধনঞ্জয় শিন্ডে, নীতিন ভাটকর এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুধের বক্তব্য, শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২১ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল নিষিদ্ধ করেছে পিমপ্রি–চিঞ্চওয়াড়া পুলিশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেই নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে। ওদিকে, ওই সময়েই ঠানের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি বিধায়ক নরেন্দ্র মেহতা স্কুলটি চালান। সেভেন স্কোয়্যার অ্যাকাডেমিতে অবস্থিত। জানা গেছে, ২৫ মে–১ জুন পর্যন্ত সেখানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চালায় বজরং দল। প্রশিক্ষণ শিবিরের কথা চাপাই ছিল। প্রশান্ত গুপ্ত নামে পড়ুয়া অস্ত্র প্রশিক্ষণের ছবি পোস্ট করলে জানাজানি হয়। মেহতা এবং অন্যদের আটক করা ও অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা করেছে ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া।