টাকা ছড়িয়ে গণতন্ত্রের সর্বনাশ করা হয়েছে এবারের ভোটে। সোমবার বিকেলে লোকসভা ভোটে দলের আশানুরূপ ফলাফল না হওয়া নিয়ে নবান্ন সভাঘরে রাজ্য সরকারের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের পরবর্তী কর্মসূচিও ছকে দিয়েছেন তিনি।
ভোটের ফলাফলের পর নিজের কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় স্তরে বৈঠক করেছেন আগেই৷ সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলোচনার থেকেও এবার কী কী ষড়যন্ত্র হয়েছে, তা নিয়ে বেশি কথা হয়েছে৷ এবারের ভোটে মানি পাওয়ার, মাসল পাওয়ার, সাংবিধানিক ক্ষমতা সব কিছুর অপব্যবহার করা হয়েছে৷ কত টাকা খরচ হয়েছে, লুট হয়েছে৷ আর এই টাকা দিয়ে গণতন্ত্রের সর্বনাশ হয়েছে৷ এটা সত্যি কথা৷ এনিয়ে আমাদের আরও আলোচনা করতে হবে৷ এসব সত্ত্বেও আমাদের ছেলেমেয়েরা বলিষ্ঠভাবে লড়েছে’৷
বিজেপি ইভিএমে কারচুপি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। মমতার কথায়, ‘ইভিএম প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সব করেছে বিজেপি৷ কৃত্রিম মেকানিজম৷ তাই এখন ভয় পাচ্ছে৷ তড়িঘড়ি দলীয় আমাদের কার্যালয়গুলো দখলের মতো কাজ চলছে৷ বাংলার সংস্কৃতি দ্রুত বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷ কিন্তু এখানে এসব করা সহজ নয়৷ আমরা প্রতিরোধ করব’৷
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচির কথা বলেন৷ তিনি জানান, ‘২১ জুলাই একটা নির্দিষ্ট বিষয়কে সামনে রেখে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, নো আইকার্ড, নো ভোট৷ সময় বদলেছে৷ এবছর আমরা ২১ জুলাইয়ে স্লোগান তুলব–গণতন্ত্র বাঁচাও, ব্যালট ফিরিয়ে দাও৷ স্লোগান হবে – মেশিন চাই না, ব্যালট চাই৷
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি ফেক নিউজ ছড়িয়ে বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করেছে, তাতে সংবাদমাধ্যমেরও ভূমিকাও সংশয়াতীত নয় বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘আরও দায়িত্ববোধের সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করা উচিত৷ বিশেষত বাংলা সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে এটাই কাম্য’।