দ্বিতীয়বারের জন্য সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লীর মসনদে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ আলোচনার পর তৈরি হয়েছে মন্ত্রীসভা। তবে আগের মন্ত্রীসভা থেকে এবার বাদ গেছে সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, সুরেশ প্রভুর মতো এক ঝাঁক মুখ। শুধু বিজেপির অন্দরের নেতারাই নয়, বঞ্চিত শরিক দলগুলিও। যেমন নীতীশ কুমারের জেডিইউ। দল থেকে মাত্র একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে শপথ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন নীতীশ। এবং ভবিষ্যতে জেডিইউ যে আর
কখনও এনডিএ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় শামিল হবে না, সে কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এতেই না থেমে এবার ‘রাজনৈতিক বদলা’ নিল তারা। রবিবার নিজের মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ করে আরও নতুন আটটি মুখ অন্তর্ভূক্ত করলেন নীতিশ। যার মধ্যে বিজেপির জন্য মাত্র একটি দফতর বরাদ্দ করেছিলেন তিনি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করা হয়।
প্রসঙ্গত, নীতীশের দলের তিনজন বিধায়ক বর্তমানে লোকসভার সাংসদ। বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও অন্য বিভিন্ন কারণে মন্ত্রক ফাঁকা পড়েছিল। রবিবার রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন নতুন আটজন মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। নতুন মন্ত্রীরা হলেন, নরেন্দ্র নারায়ণ যাদব, শ্যাম রজক, অশোক চৌধুরি, বিমা ভারতী, সঞ্জয় ঝা, রাম সেবক সিং, নীরজ কুমার এবং লক্ষ্মেশ্বর রাই। প্রত্যেকেই জেডিইউ বিধায়ক। কেন শরিকদের সুযোগ দেওয়া হল না? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই টুইটারে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা সুশীল কুমার মোদি। তিনি লিখেছেন, নীতীশ কুমার বিজেপিকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু দল এখনই যোগ দিতে চায় না। পরে বিষয়টি নিয়ে ভাবা যাবে। তবে মোদী মন্ত্রীসভায় সম্মানজনক সুযোগ না পাওয়ায় নীতীশের ক্ষোভ যে বাড়ছিল, তা আগেই স্পষ্ট। যদিও মুখে তিনি ‘সব ঠিক আছে’ বলে দাবি করেন।
কিন্তু রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রীসভায় শরিক দলগুলিকে মাত্র একটি মন্ত্রকের প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। নীতীশ কুমার তিনটি চেয়েছিলেন। বিবাদ এখানেই। অমিত শাহ নিজে ফোন করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু বরফ গলেনি। নীতীশ কুমার নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। শপথগ্রহণের দিন সকালে নীতীশ জানিয়ে দেন, তাঁর দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অংশ হবে না। ফলে মনে করা হচ্ছে, বিহার মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণে ‘মধুর বদলা’ নিলেন নীতীশ।