রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি মোর্তাজা। রবিবার ম্যাচ জেতার পর মাশরাফি ছাপিয়ে গেলেন শাকিব আল হাসান, হাবিবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম, খালেদ মাসুদকে। এঁদের মধ্যে শাকিব ও হাবিবুল তিনটি করে ম্যাচ জিতেছেন বিশ্বকাপে। আমিনুল জেতেন দু’টি ম্যাচ। মাশরাফি গড়লেন এক নতুন নজির। বলা যেতে পারে, ইংল্যান্ডের মাটিতে দেশের সফলতম অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন তিনি।
মাশরাফির নতুন রেকর্ড গড়ার দিনে ইতিহাসেরও পুনরাবৃত্তি হল ইংল্যান্ডের মাটিতে। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১২ বছর বাদে বিশ্বকাপে ফের ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রোটিয়াদের মাটি ধরাল ‘বাংলার বাঘ’রা।
এদিন ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই আইসিসি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বন্দনায় মেতে উঠেছে। আইসিসি তাদের ফেসবুক পেজে মাশরাফি, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও শাকিব আল হাসানের ছবি দিয়ে তাঁদের কিংবদন্তি বলে উল্লেখ করে। ম্যাচ জেতার পরে সাংবাদিক বৈঠকে মাশরাফি বলেন, ‘‘বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ দল ক্রিকেট বিশ্বে শ্রদ্ধা ও সমীহ দুটোই আদায় করে নিতে পেরেছে বলেই মনে করি।’’
নিজেকে সফলতম অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেও এই মানুষটাই চোটের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন নিরন্তর। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মোর্তাজা। সেই চোট নিয়েই ভারতের বিরুদ্ধে গা ঘামানোর ম্যাচে খেলেছেন মাশরাফি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে কি পুরোদস্তুর ফিট ছিলেন কিনা তা নিয়েও চলছে জল্পনা।
চোট উপেক্ষা করে মাশরাফি দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াকু মাশরাফিকে আরও একবার দেখা গেল। তাঁর সহযোদ্ধাদের মতে, “তিনি লড়াইয়ের মানসিকতা ছড়িয়ে দিয়েছেন গোটা দলের মধ্যে। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।”