এবারের লোকসভা ভোটে দিল্লীতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি প্রায় সাফ হয়ে গেছে। ফলাফল বেরোনোর এখনো এক সপ্তাহ কাটেনি। এর মধ্যেই চমক দিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে ঘোষণা করেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি বাস ও মেট্রোয় মহিলা যাত্রীদের বিনা টিকিটে যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে চলেছেন তিনি।
দিল্লীতে সরকারি বাসের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। দিল্লী সরকারের পরিবহণ দফতরের অধীনেই সেই বাস চলাচল করে। প্রতিদিন মহিলা যাত্রীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ। একই ভাবে দিল্লী মেট্রোতে প্রতিদিন মহিলা যাত্রীর সংখ্যা প্রচুর। সরকারি একটি সূত্রের হিসাবে, দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারি কোষাগারে বছরে সাতশো কোটি টাকার ধাক্কা লাগতে পারে।
কেজরিওয়ালের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, সরকারি বাসের নিয়ন্ত্রণ কেজরিওয়ালের সরকারের হাতে থাকলেও দিল্লী মেট্রো রেল কর্পোরেশন একটি যৌথ উদ্যোগ। ওই প্রতিষ্ঠানে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের অংশীদারিত্বও রয়েছে। ফলে কেন্দ্রের কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই কেজরিওয়াল একতরফা তা ঘোষণা করে দিতে পারেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ডিএমআরসি-র এক কর্তার কথায়, পপুলিজমের কারণে কলকাতা মেট্রোর ভাড়া বাড়াতে দেওয়া হয় না। সেই কারণে কলকাতা মেট্রো কখনওই লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি। দিল্লী মেট্রো লাভজনক বলেই এতো ভাল পরিষেবা দিতে পারে। কেজরিওয়াল যে পপুলিজমের কথা বলছেন, তাতে দিল্লী মেট্রোর পরিষেবা সঙ্কটে পড়তে পারে।
শুধু বাসের ভাড়া কমানো নয়, দিল্লী বিদ্যুৎ মাশুল কম রাখার ব্যাপারে এ দিন সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছরেই দিল্লীতে বিধানসভা ভোট হবে। মনে করা হচ্ছে, ভোটের কথা ভেবেই কেজরিওয়াল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।