শুক্রবার আসামের চরাইদেও জেলার সোনারি অঞ্চলে চিতাবাঘকে মেরে, পিছনের দুটি থাবা এবং লেজ কেটে খুঁটিতে ঝুলিয়ে উল্লাসে মাতলেন গ্রামবাসীরা। সেই ঘটনার ছবিও তুলেছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চিতাবাঘটি শুক্রবার সকালে গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা খবর পেয়ে যখন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ততক্ষণে চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে। বনকর্মীরা গ্রামবাসীদের সরিয়ে পশুটির দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন, ১৯৭২, অনুযায়ী মামলা রুজু করেছে বন দফতর।
তারপর ওই যে বাড়িতে চিতাটি ঢোকে সেই বাড়ির এক সদস্যকে আক্রমণ করে চিতাটি। তাঁকে বাঁচাতে গেলে অন্যদেরও আক্রমণ করে চিতাবাঘটি। এমনকি বাড়ির গবাদি পশুদের উপরও হামলা চালায়। গ্রামবাসীরা জানান, বাড়ির বাসিন্দাদের আর্তনাদ শুনে তাঁরা গিয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারপর চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মারেন। মানুষ এবং গবাদি পশুর উপর হামলার জন্য চিতাবাঘের উপর আক্রোশে পশুটির পিছনের পায়ের দুটি থাবা এবং লেজের একাংশ কেটে ফেলে সেটিকে খুঁটির সঙ্গে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।