ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। বছর ঘুরতেই জনপ্রিয়তা হারিয়ে কোনঠাসা বিপ্লব দেবের সরকার। এবার ত্রিপুরা বিজেপির অভ্যন্তরের ফাটলও প্রকাশ্যে চলে এল। মন্ত্রীসভা থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হল ত্রিপুরার পালাবদলের অন্যতম কারিগর সুদীপ রায়বর্মণকে।
সুদীপ রায়বর্মনের হাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ছাড়াও, তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বও ছিল। আপাতত সেই দপ্তরগুলি ভাগ করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা।
ত্রিপুরার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাবশালী সুদীপ। বর্তমান সরকারের অনেক বিধায়কই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। তাই সুদীপ রায়বর্মণ দল ছাড়লে বিজেপি সরকার সমস্যায় পড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, সুদীপ রায়বর্মণ দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ছিলেন বিরোধী দলনেতাও। কিন্তু বছর দুই আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর তোপ দেগে দল ছাড়েন সুদীপ। তাঁর নেতৃত্বেই ত্রিপুরা কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর হাত ধরেই ত্রিপুরায় শূন্য থেকে ক্ষমতার শীর্ষে আসে বিজেপি। কিন্তু, সেই তুলনায় মন্ত্রিসভায় ততটা গুরুত্ব পাননি।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতবিরোধ হয় সুদীপের। কয়েক মাস ধরেই ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন কাজের প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করছিলেন সুদীপ। এমনকী, রাজ্যে চিকিৎসকদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে নিজের সরকারি নিরাপত্তাও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা একাধিক ঘটনায় স্পষ্ট। এবার সেই ফাটল প্রকাশ্যে চলে এল। মন্ত্রীসভা থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হল সুদীপ রায় বর্মণকে।
সুদীপের বাবা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সুদীপও সেদিকে পা বাড়িয়ে আছেন বলে খবর।