লোকসভা নির্বাচনে ফের দেশ জুড়ে উঠেছে গেরুয়া ঝড় আর এই ঝড়েই দিকভ্রষ্ট হয়ে বিভিন্ন দল থেকে কর্মীরা যোগদান করছেন বিজেপিতে। মনিরুল ইসলামও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে আর এই যোগদানকে কেন্দ্র করেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে সৃষ্টি হল কোন্দলের। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুক্রবার বলেছেন, এরকম ঘটনায় ‘দুশ্চিন্তা’ হয়। ‘আমারও আপত্তি আছে।’
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘রাজনীতিতে কখনও কখনও মানি পাওয়ার, মাসল পাওয়ার লাগে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও বলতে হবে, রাজনীতিতে অনেক রকম বাধ্যবাধকতা থাকে। অনেক কিছু হজম করে নিতে হয়।’ তাঁর বক্তব্য, দল বড় হওয়ার সময় বেনোজল ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ‘সে কারণেই দুশ্চিন্তা হয়।
অন্যদিকে মুকুল রায় বলেছেন, ‘বিজেপি কর্মীদের ভাবাবেগ, আদর্শ, আত্মত্যাগকে জাতীয় নেতৃত্ব সব সময়েই মর্যাদা দিয়ে থাকে।’ মণিরুলকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাপানউতোর চলছেই। অনুপম হাজরা জানিয়েছেন, মোদী–অমিত শাহর অনুমতি নিয়েই মণিরুলকে দলে আনা হয়েছে। ফলে মনিরুলকে নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।
এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জলপাইগুড়ির আরএসএস নেতা প্রদীপ চন্দ। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “মুকুলের হাত ধরে মনিরুলের মতো তৃতীয় সারির একজন লোক বিজেপিতে যোগদান করলো! এই বিজেপি আমরা চাইনি।”
বীরভূমেও প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির অন্দরের কোন্দল। মনিরুলের যোগদান প্রসঙ্গে বীরভূমের বিজেপি নেতারা গণইস্তফার হুমকি দিয়েছিলেন। মনিরুলের সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে বীরভূমে বিজেপির হাত ধরেছিলেন বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন কালোসোনা মণ্ডলও। মনিরুলের বিজেপিতে যোগদানে ক্ষুব্ধ কালোসোনাবাবু বলেন, ‘ওর বিরুদ্ধে লড়তে আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। ওর অত্যাচারে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সেই মনিরুলকে দলে নিয়ে ঠিক করেনি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্ব অবিলম্বে মনিরুলকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে দরকারে ইস্তফা দেব।’