দ্বিতীয়বারের জন্য সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লীর মসনদে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ আলোচনার পর তৈরি হয়েছে মন্ত্রীসভা। আগেরবারের থেকে এইবার মন্ত্রীসভায় হয়েছে অনেক রদবদল। মন্ত্রীসভায় যেমন ঠাঁই পেয়েছেন কিছু নতুন মুখ, তেমনই বাদ পেরেছেন অনেক উল্লেখ্যযোগ্য মুখ। মন্ত্রীসভায় দেখা যাবে না সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, সুরেশ প্রভুর মতো আরও এক ঝাঁক মুখ।
এটা যদি হয় বিজেপির অন্দরের কাহিনী তবে তাঁদের শরিক দলগুলিও থেকে গেল বঞ্চিত। যেহেতু বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে তাই মন্ত্রীসভা গঠন করতে তাঁদের শরিক দলগুলির ওপর নির্ভর করতে হয় নি। আর তাই শরিক দলগুলো মন্ত্রীসভায় বঞ্চিত থাকবে সে কথা রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল। বিজেপির শরিকগুলোর মধ্যে এই কারণে মনোমালিন্য দেখা যাবে সেটাই স্বাভাবিক। বিহারে বিজেপির শরিকদল হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিল নীতিশ কুমারের জেডিইউ। আর এই দল থেকে একটি মাত্র সদস্য ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রীসভায়। আর তাতেই অখুশি হয়েছেন নীতিশ। মোদী সরকারের মন্ত্রীসভায় সামিল হচ্ছে না বিহারের শরিক দল জেডিইউ। মন্ত্রীত্ব নিতে অস্বীকার করলেন নীতীশ কুমার।
নীতীশের দলকে একটি মন্ত্রক দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী-শাহ। কিন্তু অন্তত দুটি মন্ত্রক চেয়ে বসেন নীতীশ। কিন্তু একটি মন্ত্রকেই অনড় থাকে বিজেপি। শেষপর্যন্ত মন্ত্রীসভায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ কুমার। তাঁর কথায়, ‘ওরা জেডিইউ থেকে একজনকে মন্ত্রীসভায় নিতে চেয়েছিল। এটা অনেকটা প্রতীকী অংশগ্রহণ হয়ে যেত।’
জেডিইউ সূত্রে খবর দলের সিদ্ধান্ত জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী মোদী নীতীশ কুমারকে ফোন করেছিলেন। যদিও নিজের সিদ্ধান্তে নীতীশ অটল থাকেন বলেই জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে নীতীশ কুমারের এই সিদ্ধান্ত পরের বছরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই। একটি মাত্র ক্যাবিনেট পদ নিলে নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীরা যে প্রচার করবেই যে বিজেপির কাছে মাথা নত করেছে জেডিইউ, এসম্পর্কে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল নীতীশ।