ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর দিনকয়েক রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার পর এ বার ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাইসিনা হিলে উপস্থিতও ছিলেন তিনি৷
মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে তিনি বসে যান নিজের জন্য নির্ধারিত আসনে। পাশে ছিলেন গুলাম নবি আজাদ৷ সুষমা স্বরাজ সহ বেশ কিছু নেতার সঙ্গে তিনি হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন৷ তার আগে ট্যুইটারে নবীন পট্টনায়ক ও জগন্মোহন রেড্ডিকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর, এদিন এনসিপি প্রধান ও প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেছেন৷
কংগ্রেস মহলের জোর জল্পনা, এনসিপি আবার তাঁদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে৷ তাতে সুবিধাটা হবে, কংগ্রেস লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ পেয়ে যাবে এবং মহারাষ্ট্রে আরও শক্তি-সহ লড়তে পারবে৷ সে ক্ষেত্রে বিরোধী নেতার পদটি সুপ্রিয়া সুলেকে দেওয়ার জল্পনাও রয়েছে৷ এই সংযুক্তি শেষ পর্যন্ত হবে কি না, তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না৷ এ দিন কুমারস্বামীও কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন৷ এ সবই বুঝিয়ে দিচ্ছে, প্রাথমিক ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে বেরিয়ে এসে রাজনীতিতে নিজের পায়ের তলার মাটি ক্রমশঃ শক্ত করার চেষ্টা করছেন রাহুল৷