প্রত্যেক প্রজন্মের একজন মহিরূহ প্রয়োজন, যাঁর দিকে প্রচুর প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে থাকা যায়৷ যাঁর থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, যাঁর ছায়ায় গিয়ে আশ্রয় নেওয়া যায় সংকটের সময়৷ ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন এই প্রজন্মের কাছে সেই মহিরূহই৷ আজ এই বাংলা তথা ভারতের এই স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকারের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। আজ ঋতুপর্ণের মৃত্যুদিনে টুইটারে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা লেখেন, ‘আজ ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী। ঋতু-র চলে যাওয়াটা খুব আকস্মিক ছিল। ওঁর কথা আমাদের এখনও মনে পড়ে। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো, ঋতু।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৩০ মে তাঁর কলকাতার বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। ও’দিন বিকেলে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টালিগঞ্জ টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। ঋতুপর্ণকে তিনি ‘বিরল প্রতিভা’ বলে উল্লেখও করেছিলেন। টালিগঞ্জ থেকে তাঁর দেহ সিরিটি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সৎকারের আগে মমতার নির্দেশেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হয়।