অর্থ তছরুপের অপরাধে আবার আজ ইডির অফিসে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরা। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি ইডির অফিসে পৌঁছান। তাঁকে জেরা করবেন এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের অফিসাররা।
ইডি অফিসে যাওয়ার আগে বঢড়া ফেসবুকে জানান, বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। এই নিয়ে তিনি ১২ বার ইডির মুখোমুখি হতে চলেছেন। এর আগে তাঁকে মোট ৭০ ঘণ্টা জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। রবার্টের দাবি, তিনি নির্দোষ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারে একাধিকবার বলেছেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে তাঁকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, এর আগে আমি ১১ বার জেরার মুখে পড়েছি। প্রায় ৭০ ঘণ্টা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি সব সময়ই সহযোগিতা করেছি। যতদিন না আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, ততদিনই আমি সহযোগিতা করে যাব।
এর আগে রবার্ট যতবার ইডি অফিসে গিয়েছেন, প্রতিবার তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি স্বামীকে অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। তিনি মানুষের উদ্দেশে বার্তা দিতে চান, স্বামীর পাশেই আছেন। এদিনও তিনি রবার্টকে অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, লন্ডনে ১৯ লক্ষ পাউন্ড দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনার সময় নিজের কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ আনা হয়েছে বঢরার বিরুদ্ধে। রবার্টের দফতরে তল্লাশি চালিয়ে ইডি অফিসারেরা প্রায় ২০ হাজার পাতার নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে। ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে আগাম জামিনের দাবি করেন রবার্ট । আদালত সেই দাবি মঞ্জুরও করেছিল। কিন্তু ভোট মিটে যেতেই, গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় আসার পর ইডি ফের হাত ধুয়ে নেমে পড়েছেন রবার্টের বিরুদ্ধে।
আজই দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। সে ঘটনার সঙ্গে হয়তো রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু পরোক্ষভাবে আছে। তাই আজই রবার্টকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।