চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার হামলার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও মানুষের মনে টাটকা। আর তারপর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) সূত্রে খবর, জইশের পরে পুলওয়ামা ধাঁচেই সিআরপিএফ কনভয়ে ফের বড়সড় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে উপত্যকার হিজবুল গোষ্ঠী। ১৪ ফেব্রুয়ারির পর ৩০ মার্চ জম্মু-কাশ্মীরের বানিহালে সেনা কনভয়ে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা করেছিল হিজবুল জঙ্গিরা। তবে আগে থেকেই গোয়েন্দা মারফৎ খবর পেয়ে সতর্ক ছিল সেনা-পুলিশ। সেই হামলা রুখে দেওয়া গিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা দফতরের দুই আধিকারিকের কথায়, ফের নতুন করে হামলার ছক কষছে হিজবুল মুজাহিদিন। পুলওয়ামার থেকেও বড় নাশকতা তৈরির চেষ্টা রয়েছে তারা।
এনআইএ সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের হিজবুল কম্যান্ডার ডঃ সইফুল্লার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল হিলাল। গত সপ্তাহেই হিজবুলের একাধিক সক্রিয় সদস্যের সঙ্গে গোপন আস্তানায় দীর্ঘক্ষণ শা-পরামর্শ করে সইফুল্লা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সেখানে হাজির ছিল মুস্তাক আহমেদ মালিক, জাকির হুসেন মীর, রফিক আহমেদ মাগরে এবং আলম ভাট। সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালানোর জন্য হিজবুলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে এই কম্যান্ডারদের ইতিমধ্যেই অস্ত্র ও আর্থিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। এনআইএ জানিয়েছে, গোপন ডেরায় এরা সিলিন্ডার, জিলেটিন স্টিক, ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক জমা করছে। এই পুরো ব্যাপারে উপত্যকার হিজবুলদের সাহায্য করছে পাকিস্তানের হিজবুল মাথা সায়েদ সালাউদ্দিন।
পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পরে উপত্যকায় চিরুণি তল্লাশি চালিয়ে একাধিক হিজবুল কম্যান্ডারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে, হিলাল আহমেদ মান্টো। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-এ-ইসলামির স্টুডেট উইং-এর মাথা সে। পঞ্জাবের বাটিন্ডার সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি থেকে তাকে পাকড়াও করেছিল এনআইএ। হিলালকে জেরা করেই হিজবুলের নতুন ছকের কথা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।