৩০ শে মে ২০১৩, জৈষ্ঠ্যের ‘দহন’ দিনে বৃষ্টিস্নাত কলকাতা, সকালে ঘুম ভেঙেই খবরটা পেয়েছিলো তাঁর অসংখ্য গুণমুগ্ধরা। হীরের আংটি থেকে চিরতরে হারিয়ে গেলো তার দ্যুতি। সারা কলকাতার চোখে সেদিন অঝোর বৃষ্টি। কারোর কাছে ‘রেনকোট’ নেই। সেইদিন একজন প্রাণের ‘দোসর’কে হারিয়েছিল বিনোদনের পৃথিবী। ‘১৯শে এপ্রিল’ যার পথ চলা শুরু আমাদের মননে। তারপরে একের পর এক ছবির ‘শুভ মহরৎ’ কলকাতা দেখেছে। এপ্রিলে পথচলা শুরু হলেও ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ অনেক টা রোদ্দুর নিয়ে উঠেছিল চলচ্চিত্র জগৎ।
বাঙালির ‘বাড়িওয়ালি’ মার্কা সেকেলে চিন্তা ভাবনার ‘নৌকাডুবি’ ঘটিয়েছিলেন তিনি। সত্যি কি তাঁর সৃষ্ট ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ ছিল? এ কেমন ‘খেলা’ যার প্রত্যেকটি সিনেমায় থাকে নতুন নতুন ‘উৎসব’-এর আবহাওয়া! প্রত্যেকটি গল্প যেন ‘আবহমান’ কাল ধরে বয়ে যাওয়া ‘আর একটি প্রেমের গল্প’!
নেড়া মাথা, চোখে সানগ্লাস, আর ঝোলা-দুল পড়া তিতলিটিকে দেখলেই মনে হত, ‘তাহার নামটি রঞ্জনা’… নদীর মতো বয়ে চলেছে সব ভাসিয়ে। এই লড়াকু ‘সত্যান্বেষী’ আর এই মানুষটিই তো ‘চিত্রাঙ্গদা’।
যেভাবে শঙ্খচিল অত সাত-পাঁচ না ভেবেই উড়ে যায় আরো দূরে, বহু দুরে সেভাবেই তুমি আজ বহু দূরে…
প্রণাম শিল্পী, যেখানেই থাকো ভালো থেকো তুমি…