হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা। তারপরেই শুরু হতে চলেছে বিশ্বকাপ দখলের ধুন্ধুমার লড়াই। সব দলেরই প্রস্তুতি তুঙ্গে। ১১টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যদের নিয়ে যদি সেরা একাদশ বানানো যেত, তবে কেমন হত? দেখে নেওয়া যাক। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এই সেরা একাদশে নেই মহেন্দ্র সিং ধোনি!
অস্ট্রেলিয়া কাপ জিতেছে ৫ বার, ভারত জিতেছে দু’বার, ওয়েস্ট ইন্ডিজও তাই। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে। সমস্ত দল থেকেই যদি মোট ১১ জনকে নিয়ে তৈরী হয় সেরার সেরা দল গঠন হলে সেই দলে সচিন তেন্ডুলকর থাকবেন না, এমনটা কি হতে পারে? ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত না জিতলেও সচিনের দখলে ছিল ৫২৩ রান। ২০০৩ বিশ্বকাপে ছিল ৬৭৩ রান। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতার বছরে সচিনের ছিল ৪৮২ রান, জয়ের অন্যতম নায়কের দখলে ছিল দু’টি শতরান। সচিনকে সঙ্গত দেবেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ৪০৮ রান করেন। ২০০৭ সালে করেন ৪৫৩। দু’বছরে স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৫ এবং ১০৪। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ১০৪ বলে ১৪৯ রান আজও অবিস্মরণীয়।
তিন নম্বরে রাখতে হবে রিকি পন্টিংকে। পর পর দু’বার বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেন তিনি। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ১৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন পন্টিং। মিডল অর্ডারের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তিনি। স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস থাকবেন চার নম্বরে। ১৯৭৯ সালে ১৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তার আগে ছিল ৩ উইকেটে ৫৫। এর পর ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ইংল্যান্ডকে ৯২ রানে বেঁধে ফেলেন ভিভ।
পাঁচ নম্বরে থাকবেন স্টিভ ওয়। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে ১৬৭ রান করেছিলেন স্টিভ। ১১ উইকেটও নেন। কিন্তু ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১০ বলে ১২০ রান করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপর ম্যাচে করেন ৫৬। ছয় নম্বরে রাখতে হচ্ছে ক্লাইভ লয়েডকে। ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে লয়েডের সেঞ্চুরিতে ভর করেই বিশ্বকাপের খেতাব জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কপিল দেব থাকবেন সাত নম্বরে। ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বার বিশ্বকাপজয়ের ক্যাপ্টেন হরিয়ানা হ্যারিকেন। তাঁর নেতৃত্বের গুণেই জয় এসেছিল ভারতের। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে তিনি এক জন। ইমরান খানকে রাখতেই হবে এই দলে। ১৯৯২ সালে তাঁর নেতৃত্বে চমৎকার খেলেছিল পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচে টানা জিতে ফাইনালে পৌঁছয় পাকিস্তান এবং অবশ্যই ইমরানের নেতৃত্বে। সহ-অধিনায়ক হিসাবে অন্যতম অলরাউন্ডার ইমরান থাকবেন এ দলে।
মিচেল স্টার্ক ছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপের অন্যতম নায়ক। ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। ইকনমি রেট ছিল মাত্র ৩.৫১। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। শেন ওয়ার্ন থাকবেন স্পিন ব্যাটারির দায়িত্বে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপেই ২০ উইকেট তুলে নেন ওয়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন বোলার ওয়ার্নের লেগস্পিনে কামাল করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এই দলের ১১ নম্বরে থাকছেন সর্বকালের সেরা অফস্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন। ২০০৭ এবং ২০১১ সালে দুরন্ত পারফর্ম্যান্স ছিল তাঁর। ২০০৭ সালে ২৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ৩১ বলে ৪ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।