সম্পন্ন হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। এবার পালা সংসদদের শপথগ্রহণ করার। আর তারপরে কাজ শুরু করে দেওয়া সাধারণ মানুষের জন্যে। আর মানুষের জন্যে কাজ করার ক্ষেত্রে কখনও এতটুকুও অবহেলা পছন্দ করেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সদ্য নির্বাচিত সাংসদদের আগেভাগেই জানিয়ে দিলেন মমতা, “ সংসদে পারফরম্যান্সে যেন এতটুকুও ঘাটতি না হয়”।
দলের এমপিদের প্রাথমিকভাবে এই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন ইস্যুতে কীভাবে মোদী সরকারকে চেপে ধরা হবে, সংসদে দলের কার কী ভূমিকা হবে, তা আরও বিস্তারিত বুঝিয়ে দিতে আগামী ৩ জুন কলকাতায় বৈঠকও ডেকেছেন তৃণমূলনেত্রী। কারণ দলের অবস্থান হচ্ছে, আগামী ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হলেও, লোকসভার ফলাফলের শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই বিজেপিকে রুখতে হবে। তাই সংসদের ভিতরে এবং বাইরে আরও আক্রমণাত্মক হবে বলেই ঠিক করেছে তৃণমূল।
লোকসভায় এবার ৪২টি আসনে লড়ে যে ২২ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল, তার মধ্যে সাতজন নতুন। প্রথমবার জিতে এসেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁদের যেমন বলা হয়েছিল, সেই মতো তাঁরা লোকসভার প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করে পরিচত্রপত্র নিয়ে নিয়েছেন। বাকি পুরনো এমপিরাও প্রয়োজনীয় যাবতীয় নিয়ম পূরণ করে নিয়েছেন। সমস্ত কাজকর্ম নিয়মবদ্ধ ভাবেই হচ্ছে।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ঠেকাতে বাংলা এবং বাঙালির আবেগকেও আরও বেশি করে কাজে লাগানো হবে। দলের এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির বিধানসভা দখল অত সহজ হবে না। বাংলা এবং বাঙালিয়ানা বিজেপি জানে না। তাই তৃণমূলই আগামীদিনে জিতবে।’ দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ানকে পাশে রেখে সুদীপবাবু আরও বলেন, ‘আমাদের ফল খারাপ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ২২ মোটেই কম শক্তি নয়। সংসদে তা আমরা প্রমাণ করে দেব। ভুলে যাবেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা এমপি থেকে প্রথমে ১৯, তারপর ৩৪ জনকে জিতিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিলেন। তাই তৃণমূল মোটেই শেষ হয়ে যায়নি।’