ভোটের পর থেকে উত্তপ্ত ছিলো উত্তর ২৪ পরগণার বেশ কিছুটা অংশ। নৈহাটী, ভাটপাড়া এলাকায় বিজেপির তান্ডবে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। এবার লোকসভা ভোট পরবর্তী হিংসার ছাপ পড়লো পুরুলিয়াতে। সেখানে বিজেপির বিজয় মিছিল শেষ হতেই এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে পুরুলিয়ার মানবাজার এলাকার তৃণমূল কর্মী দিলদর মাহালীর বাড়িতে বিজেপি কর্মীরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ফলে ওই তৃণমূল কর্মীর রান্নাঘর ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই তৃণমূল কর্মী দিলদর মাহালী ওই এলাকার চারজন অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর নামে মানবাজার থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে ওই চার বিজেপি কর্মী পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ঘটনার পরদিন বিকেলে ওই তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে অভয় দেন মানবাজার এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের আদিবাসী শিক্ষক নেতা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য গুরুপদ টুডু ও গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কিশোর মাহাতো। এদিন গুরুপদ টুডু বলেন, “পুরুলিয়া আসন জিতেই বিজেপি সন্ত্রাস শুরু করে দিল। সাধারণ মানুষ এরপর বুঝবেন বিজেপি কত বড় বিপদ।”
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেই বিজয় মিছিল শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই এলাকার চার বিজেপি কর্মী দিলদর মাহালী নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আসে বলে অভিযোগ। সেখানে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানোর চেষ্টা করলে ওই তৃণমূলকর্মী বাধা দেন। তখনই ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। হুমকি দেওয়া হয় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার। তার কিছুক্ষন পরেই বাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
সঙ্গে সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মী সহ স্থানীয় বাসিন্দারা আশপাশ থেকে জল এনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই দমকল ও পুলিশ আসে। অবশেষে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
গত ২৩ শে মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বাংলা জুড়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে গেরুয়া বাহিনীর সন্ত্রাস। ফের তারই এক নজির দেখা গেলো পুরুলিয়াতে।