আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা৷ তারপরেই শুরু হতে চলেছে বিশ্বকাপ দখলের ধুন্ধুমার যুদ্ধ৷ তবে তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে যেভাবে রানের পাহাড় তুলল তাতে মূল পর্বে অনেক দলকেই চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪২১ রানের সামনে ধরাশায়ী নিউজিল্যান্ড
আইপিএলে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা যে রকম দুরন্ত ফর্মে ছিলেন, তার ঝলকই দেখা গেল মঙ্গলবারের ম্যাচে। নিউ জিল্যান্ড রান তাড়া করতে নেমে শেষ ৩৩০ রানে।
শি হোপের দুরন্ত সেঞ্চুরির পাশাপাশি ব্যাটে ঝড় উঠল আন্দ্রে রাসেলেরও। টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউ জিল্যান্ড। ক্রিস গেইল ২২ বলে ৩৬ রান করে প্রথম ঝড় তোলেন। আর এক ওপেনার ইভিন লুইসের (৫০) ব্যাটেও রান এসেছে। ঠিক এখান থেকেই ম্যাচটা ধরেন শি হোপ। ৮৬ বলে ১০১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ৯ টি চার ও ৪ টি ছয় মেরেছেন তিনি। রান পেয়েছেন জেসন হোল্ডারও। ৩২ বলে ৪৭ রান করে যান তিনি।
বাকি কাজটা করে দেন আন্দ্রে রাসেল। সেই আইপিএলের চেনা ফর্মে তিনি। ২৫ বলে ৫৪ রান করে যান রাসেল। সাতটি ৪ ও তিনটি ৬ মেরেছেন তিনি। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংস শেষ হতে তখনও চার বল বাকি ছিল। তারপরেও স্কোরবোর্ডে ৪২১ রান জ্বলজ্বল করছিল! আলাদা করে বলতে হবে অ্যাশলে নার্সের কথাও। শেষ বেলায় ৯ বলে ২১ রান করে নট আউট থেকে যান ক্যারিবিয়ান স্পিনার। কিউয়ি বোলাররা সবাই বেধড়ক মার খেয়েছেন। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ উইকেট নিলেও রান আটকাতে পারেননি।
দু’দলের উইকেটকিপারই শতরান করলেন এই ম্যাচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটকিপার সাই হোপ ৮৬ বলে করলেন ১০১। অন্য দিকে, নিউজ়িল্যান্ড উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেল ৮৯ বলে ১০৬ রান করেও মাঠ ছাড়লেন ম্যাচ হেরে। যদিও তাঁর জন্য হতাশ নন ব্লান্ডেল। খেলা শেষে বলেও গেলেন, ‘‘দারুণ লাগছে শতরান করতে পেরে। প্রস্তুতি ম্যাচেই তো নিজেকে চেনাতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে। তাই আত্মবিশ্বাস ছিল বিপক্ষ বোলিংয়ের সামনে। দু’টো প্রস্তুতি ম্যাচেই ভাল খেললাম আমরা। এ বার মূল প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা ম্যাচের জন্য মনোনিবেশ করতে হবে।’’
বড় ব্যবধানে প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বলে গেলেন, ‘‘যে কোনও ম্যাচে জয় পাওয়াটাই ভাল অভিজ্ঞতা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকে এই ছন্দটাই চাই আমাদের। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংটাও আজ ভাল হয়েছে আমাদের।’