মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন হাঁটতে শুরু করেন জনজোয়ারে ভেসে যায় পথ। ক্লান্তিহীন দীর্ঘ পথ অনায়াসে পেরিয়ে যান তিনি। এই নির্বাচনেই তিনি ১৮টি পদযাত্রায় মন জয় করেছেন মানুষের। কোনো দলাদলিতে না গিয়েই জননেত্রীকে একটু দেখার বাসনায় জড়ো হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। ১৫০ কিমি হেঁটেই মানুষের অন্দরে জয়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এইবার সেই পথেই হাঁটলেন তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
দুদিন আগেই জঙ্গলমহলের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর দায়িত্ব পেয়েই রাস্তায় নামলেন মন্ত্রী। ঝাড়গ্রামে আজ পদযাত্রা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার পদযাত্রা করেন তিন দফতরের (জলসম্পদ, পরিবহণ, সেচদফতর) মন্ত্রী শুভেন্দু। দাবি করলেন হেঁটেই জঙ্গলমহল ফিরিয়ে নেবেন তিনি। হাঁটতেই হাঁটতেই শুভেন্দু বলেন, ‘জঙ্গলমহল হেঁটে ফিরিয়ে নেব।’
মানস ভুঁইঞা, অজিত মাইতিও শুভেন্দুর সঙ্গে পা মেলান। পদযাত্রা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন দখলের রাজনীতি চলছে। বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে সিপিআইএম-এর ছেলেরা এলাকা দখলের খেলায় নেমেছে। তিনি জঙ্গলমহলে এই জিনিস বরদাস্ত করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘গণতন্ত্রে সব দল থাকবে। শান্তিপূর্ণ অবস্থান থাকবে। দখলের রাজনীতি থাকবে না। বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে প্রাক্তন সিপিআইএম-এর ছেলেরা যেটা করছে, আমি মেদিনীপুরের ছেলে সেটা করতে দেব না।’
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, পঞ্চায়েতের থেকে লোকসভায় ভালো ফল হয়েছে ঝাড়গ্রামে। জঙ্গলমহলে তৃণমূলের সমর্থন অটুট রয়েছে। হেঁটেই জঙ্গলমহল বিজেপির হাত থেকে পুনরুদ্ধার করে নেবেন বলে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু। বলেন, ‘আমি সিপিআইএম-এর হামার্দকে রুখেছি। ২০১১-র আগে মাওবাদীদের খেদিয়েছি।’ মমতার যে তাঁর বিশ্বস্ত সেনার কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে ভুল করেননি এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। আবার শুভেন্দু তাঁর পুরোনো সংগঠন ফিরিয়ে আনতে পারবে আশাবাদী সবাই।