তৃতীয়বারের জন্য বীরভূমের সাংসদ হয়েছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। শপথগ্রহণের পরেই কাজে নেমে পরবেন শতাব্দী, এমনটাই তাঁর পরিকল্পনা। শতাব্দী জানালেন, সবার জন্যেই কাজ করতে চান তিনি। তিনি আরও বললেন, “ মানুষ তিনবার আস্থা রেখেছেন আরও বেশি কাজ করে তার মর্যাদা দেবেন”।
তিনি দু’বারের সংসদ সদস্য, এলাকা উন্নয়নে সংসদ তহবিলে পাওয়া মোট ৫০কোটি টাকা কী কাজে খরচ করেছেন তা পুস্তিকা আকারে তুলে ধরেছিলেন মানুষের কাছে। এই এলাকার জন্যে যেভাবে কাজ করেছেন শতাব্দী, মানুষ ভীষণ খুশি। তাই আরও একবার সবাই আস্থা রেখেছেন তাঁর ওপর। আর তাই মানুষের এই আস্থার দাম রাখতে চান শতাব্দী।
২০০৯সালে একসঙ্গে ১৯জন লোকসভা আসনে জিতেছিল তৃণমূল। সেবারই প্রথম ক্ষমতার স্বাদ পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম আমলেও দাপুটে বাম নেতা ব্রজ মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিদির মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন রাজনীতিতে নবাগতা অভিনেত্রী শতাব্দী। সেই থেকে বীরভূমের সঙ্গে যোগ অভিনেত্রীর। অন্য তারকার মতো নিজের লোকসভা কেন্দ্রকে ব্রাত্য করে ভোটপাখি হয়ে পালিয়ে যাননি তিনি। নানা কাজে ছুটে এসেছেন জেলায়। শেষ পাঁচ বছর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা না গেলেও নিজস্ব অনুষ্ঠান করে একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে জনসংযোগে হাত লাগিয়েছিলেন এলাকার এমপি। তার পুরস্কার হিসেবে দলনেত্রী তৃতীয়বারের জন্য টিকিট দেন শতাব্দীকে। এবার প্রচারে রীতিমতো উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। ভোটপ্রচারে অভিনেত্রীর গাড়ির পিছনে ভোটারদের ছোটা দেখে সব এলাকা থেকেই লিডের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন শতাব্দী।
এবার নতুন ইনিংস শুরু করতে চাইছেন সংসদে নিয়মিত হাজির থাকা এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আমার উদ্যোগেই জাতীয় সড়কের উপর একাধিক রেলওয়ে ওভারব্রিজ অনুমোদন পেয়েছে। তা যাতে দ্রুত হয় সেনিয়ে সচেষ্ট হব। ব্রিজগুলি হয়ে যাওয়ার পর আবার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে কী কী প্রয়োজন তার তালিকা প্রস্তুত করব।