১৪ বছরের এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবারে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ইটভাটার মালিক-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়নি। জানা গেছে তাঁরা ওই এলাকার বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ লোক।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে ইটভাটায় মেয়েটি কাজ করত, তার পাশেই একটি কুঠুরি থেকে ওই দলিত কিশোরীর পোড়া দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী যে ইটভাটায় কাজ করত, তার পাশেই ছোট একটি ঘরে থাকত তাদের পরিবার। কিশোরী ও তার মা, বাবা, ভাই কাজ করত সেই ইটভাটায়। গত সপ্তাহে কিশোরীর বাবা ও তাঁর ভাই নিজেদের গ্রামের বাড়িতে যান। মায়ের দেখাশোনার জন্য রেখে যান কিশোরীকে। গত শুক্রবার কিশোরীর বাবা খবর পান, তাঁর মেয়ের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে ইটভাটার পাশে। এর পর ইটভাটা মালিক-সহ ৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি/ উপজাতির উপর হিংসা দমন আইনের ধারায় খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ‘‘ইটভাটারই দুই কর্মী আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। ওরা সবাই এই এলাকায় বিজেপির লোক হিসেবেই পরিচিত। তাই পুলিশ এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে এড়াতে চাইছে। দলিত বলেই ওরা আমার মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে।’’