সন্ত্রাসের পথেই সবসময় থাকে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে তা যেন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানি ইত্যাদি চলছে। তার সঙ্গে ছিল তৃণমূলের বিভিন্ন কার্যালয় জোরজবরদস্তি দখল করা। তবে এবার পাল্টা দিল তৃণমূল। আজ সকালে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরার নেতৃত্বে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা ওই দলীয় কার্যালয়ের দখল নেয়।
শ্যামল সাঁতরা নিজে হাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন । নতুন করে দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা টাঙানো হয় । তৃণমূলের দাবি বিজেপির নেতৃত্বেই ওই দলীয় কার্যালয় দখল করা হয়েছিল।
আজ সকালে অন্য এক শ্যামল সাঁতরাকে দেখলেন জয়পুরের হেতিয়ার মানুষ। তিনি একাধারে মন্ত্রী, বাঁকুড়া সারদামনি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অন্যদিকে দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এমনকি সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই শ্যামল সাঁতরাই এদিন দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হেতিয়ায় পৌঁছে বেদখল হয়ে যাওয়া দলীয় কার্যালয়ের চাবি খোলার পর নিজে ঝাঁটা হাতে তা পরিষ্কার করলেন।
এমনকি সামনের পুকুর থেকে বালতি করে জল নিয়ে এসে দেওয়ালে আঁকা দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাদা মাখা ছবি পরিষ্কারও করলেন। পরে এলাকায় নতুন করে বেশ কিছু তৃণমূলের পতাকা লাগালেন। একজন শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিবিদের এই ধরণের কাজের নমুনা রাজ্য রাজনীতি বিরল বলেই অনেকে মনে করছেন।