বিভাজন আর ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে কংগ্রেসের। দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠিতে এই বার্তা দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। ভোটে নরেন্দ্র মোদীর কাছে হার হলেও ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর অবদানকে অস্ত্র করে মোদীকে সতর্ক করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাহুল গান্ধী। আজ ছিল নেহরুর মৃত্যুদিন। সেই প্রসঙ্গেই রাহুল একটি টুইট করেন। সেখানে সরাসরি মোদীর নাম না করলেও আদতে তা প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপিকে টার্গেট করছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেছেন, ‘গোড়ায় অনেক গণতান্ত্রিক দেশই আদতে স্বৈরতন্ত্রে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই আসুন জওহলাল নেহরুকে স্মরণ করি, দেশে শক্তিশালী স্বাধীন আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অবদানকে। কারণ সেইসব প্রতিষ্ঠানই গত ৭০ বছর ধরে ভারতে গণতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে’।
মোদীর জমানায় ভারতবাসীর অবস্থা আরো কঠিন হবে বলে মনে করছেন সোনিয়া গান্ধী। দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “আগামী দিন আরও কঠিন আমি জানি। তবুও কংগ্রেসের প্রতি সমর্থকদের বিশ্বাসের শক্তিতেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে। লড়াই যত দীর্ঘই হোক, কংগ্রেসের পূর্বপুরুষদের মতো আমিও সর্বস্ব ত্যাগ করতে তৈরি”।
দলের হার বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে কংগ্রেস যেমন বৈঠকে বসতে চলেছে, পাশাপাশি দলের কর্মী সমর্থকদের মনোবল অটুট রাখতেও উদ্যোগী হয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। আর সেই কারণেই রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধীও মাঠে নেমেছেন।
প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরেই যোজনা কমিশনের ধাঁচা বদলে দেওয়া, পঞ্চবার্ষিকী যোজনা প্রায় তুলেই দেওয়ার মতো যে ব্যবস্থা নরেন্দ্র মোদী করেছেন, পরোক্ষে তার সমালোচনা এবং মানুষের স্মৃতি জাগিয়ে তুলতে রাহুল গান্ধী নেহরুর অবদানকে নতুন করে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, “জওহরলাল নেহরু হলেন পঞ্চবার্ষিকী যোজনা, নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, বৈজ্ঞানিক সংস্থা, সমাজবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতান্ত্রিক সহমতের অন্যতম রূপকার। তাই আসুন তাঁকে স্মরণ করি”।