ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই বাংলায় চরম অরাজকতার সৃষ্টি করেছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর নেমে এসেছে আক্রমণ। এবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে বেনজির আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দিলেন, “এখনও সংযত হোন। না হলে চামড়া গুটিয়ে এমন ডুগডুগি বাজানো হবে যে পরিত্রাণের রাস্তা পাবে না।”
আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, এমনটাই ভাবছেন তিনি। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি আরও বলেন, “উত্তর কলকাতায় গণতন্ত্রের কাছে নয়, তৃণমূলের মস্তানতন্ত্রের কাছে হেরেছি। এমন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল তৃণমূল, বহু মানুষ ভোট দিতে যেতে পারেনি উত্তর কলকাতা।”
প্রসঙ্গত, শেষ দফার ভোটের আগে কলকাতায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড শো ঘিরে উত্তপ্ত হয় শহর। গেরুয়া বাহিনীর তাণ্ডবের ফলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কলেজ স্ট্রিট চত্বর। হামলা চালানো হয় বিদ্যাসাগর কলেজে। ভাঙ্গা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। তারপরেই দেখা যায়, উত্তর কলকাতায় বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, মূর্তি ভাঙার কারণেই বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ হন কলকাতার সাধারণ জনগণ। রাহুলের এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরা।