লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে বেড়েছে গেরুয়া সন্ত্রাস। দিকে দিকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের ওপর চড়াও হচ্ছে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী। দখল করে নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিসও। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছেন, বাংলায় নাকি বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। এর বিরুদ্ধেই এবার মুখ খুললেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফরহাদ হাকিম। সোমবার কলকাতা কর্পোরেশনের সদর দফতরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অসত্য কথা বলছেন। বিজেপি-ই বরং বাংলা ভাষায় যাঁরা কথা বলেন এবং সংখ্যালঘুদের মেরে ঘরছাড়া করছে।’
বাংলা ভাষায় যাঁরা কথা বলেন, আর যাঁরা সংখ্যালঘু, তাঁদেরই বেছে বেছে বিজেপি আক্রমণ করছে বলে অভিযোগ ফিরহাদের। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে বিজেপি এই রাজ্যে বিহার আর গুজরাতের সংস্কৃতি আমদানি করতে চাইছে।’ বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে তারা। আর ঠিক এই কারণে ‘বাংলা বাঁচাও’ আন্দোলনের ডাক দেন তিনি। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন বলেও স্বীকার করে নেন ফিরহাদ। তবে কী কথা হয়েছে তা খোলসা করেননি তিনি। শুধু এটুকু বলেন, ‘আমরা যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিরিশ বছর ধরে লড়াই করেছি, তাঁদের সবাইকে এই বাংলা বাঁচাও আন্দোলনে আসার জন্য আমি আবেদন জানাচ্ছি। শোভন আমার বন্ধু। ওঁকেও আমি ফোন করেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, লোকসভায় ১৮টি আসন জিতেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এবার কি তৃণমূল থেকে বেনোজল বেরোবে? জবাবে কলকাতার মেয়র বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না তৃণমূলে কোনও বেনোজল আছে। যে দলের জন্ম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে, সেখানে বেনোজল ঢুকতে পারে না।’ একইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাকিস্তানের বর্ডারে কী হচ্ছে তা দেখা। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার। কেন্দ্রীয়বাহিনী থাকার জন্য রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার আস্তে আস্তে সবটা ঠিক করে নেবে।’