গত ২৩ মে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা গেছে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ। এরপর শুক্রবারই বৈঠকে বসে এনডিএ-র মন্ত্রিসভা। এবং তা শেষ হলেই মন্ত্রিসভার সদস্যরা ষোড়শ লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন রাষ্ট্রপতির কাছে। পরে মন্ত্রিপরিষদের একটি বৈঠকে সব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ইস্তফাও দেন। শুধু তাই নয়, নিয়ম মেনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন নরেন্দ্র মোদীও। শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতিও তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন। এবং নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীকেই দেশের দায়িত্ব সামলানোর অনুরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে এনডিএ। লোকসভার যে ৫৪২ আসনে ভোট হয়েছিল, তার মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ওই জোট পেয়েছে ৩৪৯ টি আসন। গরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ছিল ২৭২ টি আসন। এনডিএ সেই ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে অনেকগুলি বেশি আসন পেয়েছে। আর বিজেপি একাই পেয়েছে ৩০৩ টি আসন। সূত্রের খবর, আগামী ৩০ মে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নেবেন মোদী। তার আগে শনিবার বিকাল সাড়ে চারটেয় সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠকে বসবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সেখানেই মোদীকে এনডিএ-র নেতা হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, নতুন সরকার গঠিত হবে ৩ জুনের মধ্যে। তার আগে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নব নির্বাচিত সাংসদদের তালিকা দিয়ে আসবেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মোদী শপথ নিয়েছিলেন ২৬ মে। তাঁর মন্ত্রিপরিষদে ছিলেন ৬০ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পূর্ণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও স্বাধীন দফতরের ভারপ্রাপ্ত কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী।