পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গী হামলার পর পাকিস্তানের সাহিত্য উৎসব বয়কট করে নিজের দেশভক্তির পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পাননি তিনি। তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’ এবং ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ শিবিরের সদস্য বলে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন তাঁরই সতীর্থ কঙ্গনা রানাওয়াত এবং ‘ভক্ত’রা। আর গতকাল মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় ফিরতেই আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের হাতে ট্রোলড হতে হল প্রখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে।
প্রসঙ্গত, এক্সিট পোলের পূর্বাভাস মিলিয়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে দেশ জুড়ে বইছে গেরুয়া ঝড়। ফের একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে শুভেচ্ছা বার্তাও। অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রীরাও অভিবাদন জানিয়েছেন মোদীকে। তেমনি আর পাঁচজনের মতোই টুইট করে মোদীকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন শাবানাও। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ভারতবাসী তাঁদের শক্তিশালী জনমত দিয়েছেন। জয়ের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা।’
তবে এই টুইটের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ট্রোলড হচ্ছেন শাবানা। মোদী-ভক্তরা বলছেন, ‘মোদী তো জিতে গেলেন, আপনি কবে দেশ ছাড়ছেন?’ কেউ কেউ আবার শাবানা আজমির পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই এই খবর রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শাবানা আজমি নাকি বলেছেন, মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশ ছাড়বেন তিনি। তবে এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সাফ জানান, এমন কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। পুরোটাই ভুয়ো। ইচ্ছে করে একদল এ কথা রটিয়েছেন।
এর আগে অবশ্য বহুবার বিজেপি’র বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে শাবানাকে। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনী বেগুসরাইয়ে সিপিআই প্রার্থী কানাহাইয়া কুমারের হয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এমনকী বহুবার প্রকাশ্যেই তিনি বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে ভারতবর্ষের ধর্ম নিরপেক্ষতা বিপন্ন হবে। তবে মোদী-ভক্তদের এমন নজিরবিহীন আক্রমণের পর অভিনেত্রীর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘যে দেশে আমার জন্ম সেখানেই আমার মৃত্যু হবে। দেশ ছাড়ার কথা একবারও বলিনি। এরকম কোনও ইচ্ছেও আমার নেই।’