বাঙালি বরাবরই রহস্যপ্রেমী। জীবনের রোমাঞ্চকর কোনো অভিজ্ঞতা বলতে যে বাঙালি কি ভালোবাসে তা কেবল বাঙালিরাই জানে। সেরকমই গোয়েন্দা গল্প ও সেটা নিয়ে তৈরি সিনেমার উপর বাঙালি সিনেমাপ্রেমীদের বরাবরের একটা অন্যরকম আকর্ষণ রয়েছে।
গোয়েন্দা গল্প বাঙালি চেটেপুটে উপভোগ করেন। আর সে কারণেই বোধহয়, ব্যোমকেশ বক্সী, ফেলুদা সহ একাধিক সাহিত্য নির্ভর রোমাঞ্চে ভরা গোয়েন্দা গল্প বারবার উঠে এসেছে সিনেমার পর্দায়। তবে সাহিত্য নির্ভর না হয়েও মৌলিক রোমাঞ্চে ভরা কাহিনি নিয়ে সিনেমা বানিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর, মনিকান্তপুরের সিংহরায় বাড়ির ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ ছবিটি দর্শকদের মন কেড়েছিল। আর এবার সেই ছবির রেশ ধরেই ধ্রুব বন্দ্যোপধ্যায়ের পরের ছবি ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’।
এই ছবি নিয়ে আবির বলেন, “‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ ও ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’, এই সোনাদা ফ্র্যাঞ্চাইজি সিনেমার মূল বৈশিষ্ঠই হল এখানে রোমাঞ্চ আছে ঠিকই, তবে সোনাদা কিন্তু এখানে মোটেও পেশাদার গোয়েন্দা নন। তিনি হলেন ইতিহাসের প্রফেসর। যদিও এটা গুপ্তধনের সন্ধানেতে বলা হয়েছে। তিনি টাকার বিনিময়ে কোনও রহস্যের সমাধান করেন না। আর বাংলা ছবিতে ‘গুপ্তধন’ নিয়ে কিন্তু খুব বেশি ছবি হয়নি। আমরা হয়ত এধরনের গল্প বইয়ে পড়েছি। আর সবথেকে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সোনাদা, ঝিনুক, আবির চরিত্রগুলি কিন্তু এক্কেবারেই মৌলিক চরিত্র, এটা কোনও সাহিত্য নির্ভর ছবিই নয়”।
আগের বারের গল্প এগিয়ে ছিল মনিকান্তপুরকে কেন্দ্র করে, কিন্তু এবার গল্প এগোবে দুর্গেশগড়কে কেন্দ্র করে, কিন্তু সেক্ষেত্রে গল্প জোড়ার ব্যাপারটা একটু আলাদা। গল্পে ঝিনুকের চরিত্রে অভিনয় করা ঈশা সাহা বলেন, “গল্পে সোনাদা যেহেতু প্রফেসর, তো তাঁরই এক ছাত্র (যে চরিত্রটা আরিয়ান করছে) ওর আদি বাড়ি হল দুর্গেশগড়ের আশেপাশে একটা জায়গায়। তো সেখানেই আমরা দুর্গাপুজোর নিমন্ত্রণ পেয়ে যাবো। বাড়ির পুরনো ঐতিহ্যবাহী পুজো। সেখানে গিয়ে একটা অ্যাডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়ে সোনাদা, ঝিনুক ও আবির”।