‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে পারা আমার জীবনের সেরা সম্মান।’ ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়ে অবশেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। আগামী ৭ জুন কনজারভেটিভ পার্টির পরিষদীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। তবে পরবর্তী নেতা বাছাই পর্যন্ত মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বা ব্রেক্সিট কার্যকর করার ক্ষেত্রে গোড়ায় সময়সীমা ছিল ২৯ মার্চ। তবে তা সম্ভব না হওয়ায়, সময়সীমা বাড়িয়ে ১২ এপ্রিল করা হয়। তাতেও ব্যর্থ হন মে। ফের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানান তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাঁকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়।
তবে ব্রেক্সিট জটে দলের অভ্যন্তরেই টেরেসা মে-কে নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গেও আলোচনা ভেস্তে যায়। এমনকী, হাউস অফ কমন্সে টেরেসা মে-র ব্রেক্সিট প্রস্তাব তিনবার নাকচ হয়েছে।
এমতাবস্থায় পার্লামেন্ট চুক্তিতে সায় দিলেই পদত্যাগ করবেন বলে কথা দেন মে। উল্লেখ্য, জুনের প্রথম সপ্তাহেই বৈঠক ও ভোট ব্রিটেনের পার্লামেন্টে। তবে নিজের দেওয়া কথা রাখতে তাঁর আগেই পদত্যাগের আগাম ঘোষণা করে দিলেন তিনি। চাপের মুখে আবেগপ্রবণ গলায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘কৃতজ্ঞতার’ সঙ্গেই সরে দাঁড়াবেন তিনি। শুধু তাই নয়, ব্রেক্সিট সমস্যার সমাধান না করতে পারার জন্যও ‘আক্ষেপ’ করেছেন টেরেসা। নিজের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।