বেশি দিন আগের কথা নয়। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। আর সেই সময়ই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কৃষকদের ওই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন— সরকার কয়েক জন শিল্পপতির দেড় লক্ষ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ মকুব করে দেয়, কিন্তু অসহায় কৃষকদের সামান্য কৃষিঋণ মকুব করে না কেন? ওই ঘটনার পর অনেকেই ভেবেছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে সেই আন্দোলনের প্রতিফলন ঘটবে। আর তার ফসল ঘরে তুলবে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু দেখা গেল রাজ্যের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪১টিতে জয় নিশ্চিত করে বিজেপি-শিবসেনা নিজেদের গড় ধরে রেখেছে। আর কংগ্রেস-এনসিপি জোট পেয়েছে মাত্র ৫টি আসন। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা কংগ্রেসের।
বিরোধীদের এই হাল হল কেন? সঞ্জয় শাঠে জানালেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও দেশভক্তির জোয়ারে ভেসে গিয়েছে নাশিকের পেঁয়াজ চাষিদের সমস্যা। গত মরসুমে পেঁয়াজ বিক্রির ১০৬৪ টাকা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে মানি অর্ডার করে পাঠিয়েছিলেন সঞ্জয়। এই নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ায় একটি উচ্চ পর্যায়ের দল সঞ্জয় ও অন্য পেঁয়াজ চাষিদের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শোনে। তবে তারপর যোগ্য দাম না পেলেও চলতি মরসুমে পেঁয়াজ চাষিরা কিলোপ্রতি ১০ টাকা করে দাম পাচ্ছেন। নিরুপায় কৃষকরা তাই মুখ বুজে মেনে নিয়েছেন। তার ওপর কমিশনের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে বিজেপি-শিবসেনা যেভাবে টানা প্রচার করেছেন, তাতে চাষিদের বড় অংশই মনে করেছেন, মোদীই দেশকে সুরক্ষা দিতে পারেন। সেই কারণে নিজেদের দুর্দশার কথা ভুলে বিজেপির ঢুকিয়ে দেওয়া জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে চালিত হয়ে ভোট দিয়েছেন কৃষকরা।