সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়ে গেছে। দিল্লীর মসনদে আবার সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে মোদী ফিরেছেন। আর তারপর নানা জায়গা থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে তাঁর কাছে। তারমধ্যে উল্লেখ্য অবশ্যই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের থেকে আসা বার্তা। তা দেখে দেশবাসী ভেবেছিল আবারও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে সম্পর্কে। কিন্তু সেই মোহ ভাঙতে বেশি সময় লাগল না। শুক্রবার সকালেই পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানাল যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকারে ভারত হস্তক্ষেপ করলে বিরোধিতা করবে পাকিস্তান।
নীতিগতভাবে বরাবর সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিরোধী বিজেপি। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুসারেই জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ ঘটায়নি মোদী সরকার। তবে দল যে এই অনুচ্ছেদের বিলোপের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর, তাও জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, কাশ্মীরের উন্নয়নে সেখানে বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু অকাশ্মীরি কেউ সেরাজ্যে জমি কিনতে না-পারায় বিনিয়োগ আসছে না। ফলে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যটি।
এই ইস্যু নিয়ে আবার চর্চা শুরু হয়ে গেল মোদী সরকারের আসতেই। পাকিস্তানের দাবি, রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরে গণভোটের আগে সেখানে সাংবিধানিক বিশেষাধিকারে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই ভারতের। সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়ে গেল। আবার অশান্ত হয়ে উঠতে পারে উপত্যকা বলে আশঙ্কায় দেশবাসী।