কিছু আসন বেড়েছে বিজেপি’র। এটা সত্যি। তবে এখনও বাংলা তৃণমূলের দখলেই আছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের শোচনীয় পরাজয় হয়নি। বরং ২৩ আসনের টার্গেট পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। বাংলার মানুষ তা পূরণ করতে দেয়নি। তাই বাংলা এখনও তৃণমূলের দখলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ তৃণমূলের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২টিতে।
অন্যদিকে ১৮টি আসনেই আটকে দেওয়া গিয়েছে বিজেপিকে। আর কংগ্রেস পেয়েছে দুটি আসন। সবমিলিয়ে ৪২। যা তাঁদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। কী কারণে লক্ষ্যপূরণ করা গেল না? তার জন্য রাজ্য নেতারা বৈঠকে বসবেন বলে খবর। কিন্তু বিজেপি যে এই আসন সংখ্যা পেয়েছে তা কিন্তু তৃণমূলের ভোট কেটে নয়। বরং নীচুতলায় বামেদের সঙ্গে একটা সমঝোতা হয়েছিল বলেই সেই ভোটব্যাঙ্ক সরাসরি গেছে গেরুয়া ঝুলিতে। আর তাই বামেদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে গোটা দেশে। যা ব্যাপক পরাজয় বলে মেনে নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
কিন্তু বামেরা কেন বিজেপি’র ঝুলি ভর্তি করল? জানা গিয়েছে, বামেরা বুঝতে পেরেছিল সাংগঠনিক দুর্বলতা যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে তৃণমূলের থেকে আসন কেড়ে নেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। বরং বিজেপিকে ভোট দিয়ে তাঁদের হাত শক্ত করতে হবে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে গিয়ে বাংলার তথা দেশের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলল বামেরা। উল্টে বিজেপি ক্ষমতায় এসে বামেদের নিমেষে ভুলে যাবে। তখন বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণের কথা স্বীকার করা যাবে না। বরং বাংলার মানুষকে তৃণমূল বোঝাতে পারবে তাঁরা মুখে যা বলেছে কাজেও তা করে দেখিয়েছে। মোদী বিরোধীতা জারি থাকবে। তাই বাংলার দখল তৃণমূলের হাতে অটুট থাকল বলেই মনে করা হচ্ছে।