আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভাটপাড়া। লোকসভা কিংবা ভাটপাড়া উপনির্বাচনের দিন দফায় দফায় গন্ডগোল হয়েছে কাঁকিনাড়া এবং ভাটপাড়ায়। শান্তি ফেরেনি তার পরেও। পরপর ২ দিন দীর্ঘক্ষণ ট্রেন অবরোধ, ট্রেন লক্ষ্য করে বোমা এবং পাথর ছোঁড়া এরকম নানারকম অশান্তি লেগেই ছিল। কাল ফল ঘোষণা হতেই তা যেন ফের মাত্রা ছাড়াল।
অভিযোগ, গোটা এলাকায় তৃণমূলের পাঁচটি পার্টি অফিস দখল করে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এরমধ্যে তিনটি কাঁচড়াপাড়ার মাদরালে। বাকি দুটি জগদ্দলের মোমিনপুরে। মোমিনপুরে পার্টি অফিসের সামনে বেশ কয়েকটি মোটরবাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। খোলেনি দোকানপাট। টহল দিচ্ছে পুলিশ ও আধা সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
গত রবিবার ছিল ভাটপাড়া পুরসভার উপনির্বাচন। তার আগের রাত থেকেই তেতে ওঠে গোটা এলাকা। বোমা-গুলি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে সন্ত্রাসের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। লাগাতার তিনদিন ধরে চলে অশান্তি। এমনকি ট্রেন লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। বুধবারের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বৃহস্পতিবার ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই ফের তেতে ওঠে ভাটপাড়া, নৈহাটির বিভিন্ন এলাকা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয় তাণ্ডব। রাতভর চলে তৃণমূল ও বিজেপির দফায় দফায় সংঘর্ষ। সবথেকে বড় ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়ার গোলঘর এলাকায়। সেখানে তৃণমূলের একটি অফিস দখল করে শুধু ভাঙচুরই চালানো হয়নি, আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নৈহাটিতে পুরসভার একটি হেল্থ সেন্টার দখল করে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বীজপুর, কাঁচড়াপাড়া, জগদ্দল, নৈহাটির বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। গোটা এলাকায় রয়েছে চরম উত্তেজনা। এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন।